প্রতিনিধি
মহম্মদপুর (মাগুরা): 'শুনছি সরকার ঘর বানাই দিচ্ছে। বড়লোকরা সেই ঘর পাচ্ছে। আমি গরিব। স্বামী সন্তান নেই। থাকি অন্যের বাড়িতে। আপনারা সরকাররে একটু কবেন, আমারে যেন একটা ঘর বানায় দেয়। আমি যেন সেই ঘরে শুয়ে মরতে পারি'। এভাবেই আক্ষেপ করে জীবনের শেষ ইচ্ছের কথা বলেন মাগুরার খালিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সূর্য বেগম।
সূর্য বেগমের স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। তিনি এখন হতদরিদ্র মানুষ। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে চলে জীবন। স্থানীয় শহিদ মিয়া নামে এক কৃষক দয়াপরবশ হয়ে তাকে বাড়িতে থাকতে দেন। শহিদের পরিবারেও পাঁচ জন সদস্য। নিজেরই টানাটানির সংসার। সূর্য বেগম সারাদিন পাড় গ্রাম ঘুরে ভিক্ষা করেন।
এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সূর্য বেগম বলেন, স্বাধীনতার ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। ছেলে, মেয়েও নেই। সারাদিন পায়ে হেঁটে, রোদে পুড়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করি। অতি কষ্টে জীবন চলছে। এখন বয়সের ভারে চোখেও কম দেখছেন। ইদানীং সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ভিক্ষা করতেও বের হতে পারছেন না। সরকারি একটা ঘর পেলে সেখানে গিয়ে থাকতে চান। অন্তত বাকিটা জীবন নিজের একটা ঘর থাকলো! সেখানেই খেয়ে না খেয়ে কাটাতে চান তিনি।
৬৫ বছরের সূর্য জানান, বছরের পর বছর এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে ধরণা দিয়ে জুটেছে বিধবা ভাতার কার্ড। প্রতিমাসে যে টাকা পান তা দিয়ে ওষুধপথ্য কিনতেই ফুরিয়ে যায়। ফলে পেট চালাতে ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই তার।
এলাকাবাসী বলেন, গরীব অসহায় নারী সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। প্রায় ১০ বছর ধরে মানুষের ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনধারণ করছেন সূর্য। এলাকায় তো ভালো আয়-রোজগার আছে এমন লোকেরাও ঘর পেয়েছে। অথচ এই গরীব অসহায় নারী কপালে ঘর জোটেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার শিকদার মিজানুর রহমান বলেন, অসহায় এই নারীকে সরকারি ঘর দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঘর দেওয়া শেষ। নতুন করে ঘর দেওয়া শুরু হলে বৃদ্ধাকেই আগে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
শিগগিরই সূর্য বেগমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল।
মহম্মদপুর (মাগুরা): 'শুনছি সরকার ঘর বানাই দিচ্ছে। বড়লোকরা সেই ঘর পাচ্ছে। আমি গরিব। স্বামী সন্তান নেই। থাকি অন্যের বাড়িতে। আপনারা সরকাররে একটু কবেন, আমারে যেন একটা ঘর বানায় দেয়। আমি যেন সেই ঘরে শুয়ে মরতে পারি'। এভাবেই আক্ষেপ করে জীবনের শেষ ইচ্ছের কথা বলেন মাগুরার খালিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সূর্য বেগম।
সূর্য বেগমের স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। তিনি এখন হতদরিদ্র মানুষ। মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে চলে জীবন। স্থানীয় শহিদ মিয়া নামে এক কৃষক দয়াপরবশ হয়ে তাকে বাড়িতে থাকতে দেন। শহিদের পরিবারেও পাঁচ জন সদস্য। নিজেরই টানাটানির সংসার। সূর্য বেগম সারাদিন পাড় গ্রাম ঘুরে ভিক্ষা করেন।
এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সূর্য বেগম বলেন, স্বাধীনতার ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৫ বছর আগে। ছেলে, মেয়েও নেই। সারাদিন পায়ে হেঁটে, রোদে পুড়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করি। অতি কষ্টে জীবন চলছে। এখন বয়সের ভারে চোখেও কম দেখছেন। ইদানীং সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ভিক্ষা করতেও বের হতে পারছেন না। সরকারি একটা ঘর পেলে সেখানে গিয়ে থাকতে চান। অন্তত বাকিটা জীবন নিজের একটা ঘর থাকলো! সেখানেই খেয়ে না খেয়ে কাটাতে চান তিনি।
৬৫ বছরের সূর্য জানান, বছরের পর বছর এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে ধরণা দিয়ে জুটেছে বিধবা ভাতার কার্ড। প্রতিমাসে যে টাকা পান তা দিয়ে ওষুধপথ্য কিনতেই ফুরিয়ে যায়। ফলে পেট চালাতে ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই তার।
এলাকাবাসী বলেন, গরীব অসহায় নারী সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। প্রায় ১০ বছর ধরে মানুষের ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনধারণ করছেন সূর্য। এলাকায় তো ভালো আয়-রোজগার আছে এমন লোকেরাও ঘর পেয়েছে। অথচ এই গরীব অসহায় নারী কপালে ঘর জোটেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার শিকদার মিজানুর রহমান বলেন, অসহায় এই নারীকে সরকারি ঘর দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ঘর দেওয়া শেষ। নতুন করে ঘর দেওয়া শুরু হলে বৃদ্ধাকেই আগে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
শিগগিরই সূর্য বেগমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৩৯ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
৪২ মিনিট আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে