প্রতিনিধি, মহম্মদপুর (মাগুরা)
টানা বৃষ্টিতে মধুমতি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। দিশেহারা দুই শতাধিক পরিবার। তাদের ঈদ কেটেছে আতঙ্কের মধ্যে। মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদী প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এভাবে ভাঙে বলে জানালেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, ক্রমাগত নদীভাঙনে উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে চরপাচুড়িয়া, মহেশপুর, হরেকৃষ্ণপুর, আড়মাঝি, রায়পুর, রুইজানি ও ভোলানাথপুর গ্রাম। চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার এই ছয় গ্রামের ২-৩ কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
নদীর তীব্র ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল কাফী, ইউএনও রামানন্দ পাল সম্প্রতি ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
উপজেলা সদরের কাশিপুর গ্রামে মধুমতি নদীপাড়ের বিধবা সামেলা বেগম (৫০)। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। পাঁচ মেয়ের মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী। বসতঘরের দুই হাত দূরে মধুমতি নদী ফুঁসছে। যে কোনো সময় শেষ সম্বল বসতঘরটি মধুমতির পেটে চলে যেতে পারে। ঘরের মালপত্র প্রতিবেশীর ঘরে রেখে তাদের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। ঈদের দিন চুলা জ্বলেনি। পাশের বাড়ির পাঠানো খাবার খেয়েছেন তারা।
সামেলা বেগম বলেন, ‘বাইচা যে আছি এটাই তো অনেক, ঈদ কী করব? নদী আমাগের সব কাড়ে নেছে। একটু ঘর ছিল তাও যাওয়ার পথে। শরিকেরা সব চলে গেছে। আমার যাওয়ার কোনো জাগা নাই। এতোডিক মায়ে (এতগুলো মেয়ে) নিয়ে কহানে যাব কী করব কিছুই বুঝতেছি নে।’
শুধু সামেলা বেগম নন, উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধুমতি পাড়ের ভাঙন কবলিত কাশিপুর, রুইজানি ও ভোলানাথপুর গ্রামের হাজারো মানুষের মনে কোনো ঈদের আনন্দ নেই। গত ১০ দিনে দুই শতাধিক বসত ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী গিলে খেয়েছে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি ঘর, স্কুল, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, হাট-বাজার, গোরস্থান ও মন্দিরসহ শহররক্ষা বাঁধ।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বুধবার (২১ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের মধুমতি পাড়ের কাশিপুর, ভোলানাথপুর ও রুইজানি গ্রাম ঘুরে ভাঙন কবলিত মানুষের করুণ চিত্র দেখা গেছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে তিন গ্রামে নদীভাঙন দেখা দেয়। গত ১০ দিন ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এই সময়ের মধ্যে গ্রামগুলোর প্রায় দুই শ পরিবারের হাজারো মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে অথবা খোলা জায়গায় ছাউনি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জয়েন উদ্দিন আশ্রয় নেন গ্রামের একজনের বাড়িতে। তিনি বলেন, ‘আইজ ঈদ। কিন্তু তা নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই। বাড়িখান গাংঙে নিয়ে গেল। ভাঙনের চিন্তায় কয়েক দিন কাজ-কামে না যাওয়ায় ঘরে চাইল-ডাইল নাই। প্যাটে ভাত নাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই তাগরে আবার কিসের ঈদ?’
জয়েন উদ্দিনের মতো অবস্থা গত ১০ দিনে নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া তিন গ্রামের হাজারখানেক মানুষের। খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘ভাঙন-দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সরোয়ার জাহান সুজন জানালেন, ভাঙন এলাকা ঘুরে এসেছেন তিনি। ভাঙন প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলার কাজ শুরু হবে।
এ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোলানাথপুর এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’
স্থানীয় এমপি ড. বীরেন শিকদার বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
টানা বৃষ্টিতে মধুমতি নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। দিশেহারা দুই শতাধিক পরিবার। তাদের ঈদ কেটেছে আতঙ্কের মধ্যে। মহম্মদপুর উপজেলায় মধুমতি নদী প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এভাবে ভাঙে বলে জানালেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, ক্রমাগত নদীভাঙনে উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে চরপাচুড়িয়া, মহেশপুর, হরেকৃষ্ণপুর, আড়মাঝি, রায়পুর, রুইজানি ও ভোলানাথপুর গ্রাম। চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার এই ছয় গ্রামের ২-৩ কিলোমিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
নদীর তীব্র ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আব্দুল্লাহেল কাফী, ইউএনও রামানন্দ পাল সম্প্রতি ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
উপজেলা সদরের কাশিপুর গ্রামে মধুমতি নদীপাড়ের বিধবা সামেলা বেগম (৫০)। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। পাঁচ মেয়ের মধ্যে দুজন প্রতিবন্ধী। বসতঘরের দুই হাত দূরে মধুমতি নদী ফুঁসছে। যে কোনো সময় শেষ সম্বল বসতঘরটি মধুমতির পেটে চলে যেতে পারে। ঘরের মালপত্র প্রতিবেশীর ঘরে রেখে তাদের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। ঈদের দিন চুলা জ্বলেনি। পাশের বাড়ির পাঠানো খাবার খেয়েছেন তারা।
সামেলা বেগম বলেন, ‘বাইচা যে আছি এটাই তো অনেক, ঈদ কী করব? নদী আমাগের সব কাড়ে নেছে। একটু ঘর ছিল তাও যাওয়ার পথে। শরিকেরা সব চলে গেছে। আমার যাওয়ার কোনো জাগা নাই। এতোডিক মায়ে (এতগুলো মেয়ে) নিয়ে কহানে যাব কী করব কিছুই বুঝতেছি নে।’
শুধু সামেলা বেগম নন, উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধুমতি পাড়ের ভাঙন কবলিত কাশিপুর, রুইজানি ও ভোলানাথপুর গ্রামের হাজারো মানুষের মনে কোনো ঈদের আনন্দ নেই। গত ১০ দিনে দুই শতাধিক বসত ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী গিলে খেয়েছে কয়েক শ বিঘা ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি ঘর, স্কুল, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, হাট-বাজার, গোরস্থান ও মন্দিরসহ শহররক্ষা বাঁধ।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বুধবার (২১ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের মধুমতি পাড়ের কাশিপুর, ভোলানাথপুর ও রুইজানি গ্রাম ঘুরে ভাঙন কবলিত মানুষের করুণ চিত্র দেখা গেছে। এক মাসেরও বেশি সময় আগে তিন গ্রামে নদীভাঙন দেখা দেয়। গত ১০ দিন ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এই সময়ের মধ্যে গ্রামগুলোর প্রায় দুই শ পরিবারের হাজারো মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে অথবা খোলা জায়গায় ছাউনি করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জয়েন উদ্দিন আশ্রয় নেন গ্রামের একজনের বাড়িতে। তিনি বলেন, ‘আইজ ঈদ। কিন্তু তা নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই। বাড়িখান গাংঙে নিয়ে গেল। ভাঙনের চিন্তায় কয়েক দিন কাজ-কামে না যাওয়ায় ঘরে চাইল-ডাইল নাই। প্যাটে ভাত নাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই তাগরে আবার কিসের ঈদ?’
জয়েন উদ্দিনের মতো অবস্থা গত ১০ দিনে নদীভাঙনে নিঃস্ব হওয়া তিন গ্রামের হাজারখানেক মানুষের। খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘ভাঙন-দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সরোয়ার জাহান সুজন জানালেন, ভাঙন এলাকা ঘুরে এসেছেন তিনি। ভাঙন প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ (বালুর বস্তা) ফেলার কাজ শুরু হবে।
এ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোলানাথপুর এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’
স্থানীয় এমপি ড. বীরেন শিকদার বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
প্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
৪ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চল তেকানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চে। স্থানীয়দের দাবির পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের মৌখিক নির্দেশে এ কাজ শুরু হয়।
৪ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এবং হক মিয়ার বাড়িতে এ হামলা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে