খুলনা প্রতিনিধি
৪১ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কিছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সবশেষ মেকানিক্যাল বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে অসুস্থ অবস্থায় কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি অনশনরত শিক্ষার্থীরাও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় কুয়েটে গিয়ে দেখা যায়, টানা ৪১ ঘণ্টার অনশনে আন্দোলনরত ২৬ শিক্ষার্থীদের সবাই শারীরিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। অনেকের শরীরে রক্তচাপ কমে গেছে। কুয়েটের আবাসিক—অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে সামনে জড়ো হচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ সকাল থেকে কুয়েটের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদিক হোসেন পরামানিক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজকে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটতে পারে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অনশন থেকে প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকেরা। উপ-উপাচার্য অনশনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন কয়েকবার শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। তারপরও আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
উল্লেখ্য, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ৩২ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থী আজিমুল হক সিয়াম কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এসে তাঁকে স্যালাইন দেন। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে জোহরের নামাজ পড়ার সময় অনশনরত শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে ও পরে নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার রাতে ২ জন শিক্ষার্থী কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের অভিভাবকেরা এসে নিয়ে যান। এ ছাড়া একজন শিক্ষার্থীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা হামলা করলেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনের বিরুদ্ধে দায়সারা একটি মামলা করেছে কুয়েট প্রশাসন। হামলার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগে বহিরাগত একজন বাদী হয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় ছাত্রদের ব্যক্তিগত পরিচয়, বিভাগ ও রোল নম্বর যেভাবে নিখুঁত বর্ণনা করা হয়েছে, তা কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না। এরপর কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যের কাছে বারবার দাবি জানালেও তিনি তাঁদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ২ রাত তাঁরা খোলা আকাশের নিচে থাকার পর ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে ঢোকেন। কিন্তু হলে খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ তাঁদের দাবি পূরণের উদ্যোগ নেয়নি। তাই তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
৪১ ঘণ্টা ধরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কিছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সবশেষ মেকানিক্যাল বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামকে অসুস্থ অবস্থায় কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি অনশনরত শিক্ষার্থীরাও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় কুয়েটে গিয়ে দেখা যায়, টানা ৪১ ঘণ্টার অনশনে আন্দোলনরত ২৬ শিক্ষার্থীদের সবাই শারীরিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। অনেকের শরীরে রক্তচাপ কমে গেছে। কুয়েটের আবাসিক—অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে সামনে জড়ো হচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ সকাল থেকে কুয়েটের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদিক হোসেন পরামানিক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজকে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটতে পারে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অনশন থেকে প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকেরা। উপ-উপাচার্য অনশনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন কয়েকবার শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক। অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাঁরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। তারপরও আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
উল্লেখ্য, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ৩২ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থী আজিমুল হক সিয়াম কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এসে তাঁকে স্যালাইন দেন। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে জোহরের নামাজ পড়ার সময় অনশনরত শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে ও পরে নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার রাতে ২ জন শিক্ষার্থী কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের অভিভাবকেরা এসে নিয়ে যান। এ ছাড়া একজন শিক্ষার্থীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা হামলা করলেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনের বিরুদ্ধে দায়সারা একটি মামলা করেছে কুয়েট প্রশাসন। হামলার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
তারা আরও বলেন, কিছুদিন আগে বহিরাগত একজন বাদী হয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় ছাত্রদের ব্যক্তিগত পরিচয়, বিভাগ ও রোল নম্বর যেভাবে নিখুঁত বর্ণনা করা হয়েছে, তা কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না। এরপর কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যের কাছে বারবার দাবি জানালেও তিনি তাঁদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ২ রাত তাঁরা খোলা আকাশের নিচে থাকার পর ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে ঢোকেন। কিন্তু হলে খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ তাঁদের দাবি পূরণের উদ্যোগ নেয়নি। তাই তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট সভা চলছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে সভাটি শুরু হয়। কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদ সভায় সভাপতিত্ব করছেন। সভা কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগেবাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে রেখেই এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হলো খাইরুল বেপারী নামের এক শিক্ষার্থীকে। আজ বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায় সে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে প্রতীকী আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিট হরাইজন নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক এই মহাসড়ক অবরোধ করেন।
২ ঘণ্টা আগে