মুজিবুর রহমান, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরায় চলছে বোরো ধান চাষের মৌসুম। কৃষকেরা খেতের পোকামাকড় আর আগাছা দমনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে মাস্ক বা গ্লাভস পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টার আগে এবং বিকেল ৪টার পর কীটনাশক ছিটানোর উপযোগী সময়। আর সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হলে বিশেষ পোশাক পরিধান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জেলার পাটকেলঘাটায় দেখা যায়, কৃষকেরা প্রখর রোদে ধানখেতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কারও নাকে-মুখে মাস্ক বা কাপড় নেই। হাতে নেই কোনো হাতমোজা বা গ্লাভস। গায়ে আছে সাধারণ টি-শার্ট। কাঁধে ঝোলানো মেশিন থেকে বেরিয়ে আসছে কীটনাশকের ‘বিষ’। কেউ আবার আগাছানাশক মিশিয়ে হাতমোজা ছাড়াই হাত দিয়ে
ছিটাচ্ছেন রাসায়নিক সার। কীটনাশকের প্যাকেট বা বোতলের গায়ে স্পষ্ট অক্ষরে বিষ লেখা থাকলেও তা নিয়ে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছেন না। যে যাঁর মতো এগুলো ব্যবহার করছেন। এভাবে করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, কীটনাশক ছিটানো আর সার ব্যবহারের বিধি নিয়ে কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা পান না তাঁরা। তাই না জেনেই এমন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের বারবার সচেতন করলেও কাজে আসছে না কোনো কিছু।
আমতলাডাঙ্গা এলাকার কৃষক আজগার ও সিরাজুল গাজী দাবি করেন, এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাঁরা যখন সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেন তখন মাথা ঘোরে, বমির ভাব হয়। শরীরে বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়। কৃষকেরা আরও বলেন, তাঁরা সাধারণ কৃষক মানুষ। সকাল হলেই ফসলের মাঠে যেতে হয়। এত নিয়ম মেনে কীভাবে চলবেন?
আরেক কৃষক ইনছার মোড়ল বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। কৃষিই জীবিকার উৎস। বিধি মেনে চলতে গেলে স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিতে হবে কৃষি বিভাগকে। গ্রামের সাধারণ কৃষকেরা এসব বিষয়ে জানেন না।’
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম, রবিউল গাজীসহ কয়েকজন জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জমিতে ছিটানো কীটনাশকের দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া যায় না। চলাচল করতে কষ্ট হয়। মুখ-চোখ জ্বালাপোড়া করে। অনেক সময় চামড়ায় ফোসকা পড়ে ঘা হয়ে যায়।
এ নিয়ে কথা হলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব সরদার বলেন, ধানখেতে স্প্রে করা এসব বিষাক্ত পদার্থ শরীরে ঢোকায় অনেক সময় শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ও চর্মরোগ হয়। তবে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও পোশাক পরিধান করে কীটনাশক ব্যবহার করলে এসব রোগ থেকে সুরক্ষা সম্ভব।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম বলেন, ‘ধানসহ বিভিন্ন ফসলে বালাইনাশক স্প্রে করার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন বাতাসের বিপরীতে স্প্রে করা যাবে না। স্প্রে করার সময় মাস্ক, গ্লাভস, চশমা ব্যবহার করতে হবে, যাতে শরীরের কোনো অংশে এ কীটনাশক পৌঁছাতে না পারে।’
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে কৃষকেরা যাতে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করেন, সে জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিভিন্ন উঠান বৈঠকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যাতে কীটনাশকের ঝুঁকি থেকে তাঁরা রক্ষা পেতে পারেন। কৃষকেরা অনেক সচেতন রয়েছেন। সকাল ৮টার আগে এবং বিকেল ৪টার পর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করলে ফসলের গুণাগুণ ভালো থাকে। এ ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ অব্যাহত আছে।’
সাতক্ষীরায় চলছে বোরো ধান চাষের মৌসুম। কৃষকেরা খেতের পোকামাকড় আর আগাছা দমনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে মাস্ক বা গ্লাভস পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮টার আগে এবং বিকেল ৪টার পর কীটনাশক ছিটানোর উপযোগী সময়। আর সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হলে বিশেষ পোশাক পরিধান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জেলার পাটকেলঘাটায় দেখা যায়, কৃষকেরা প্রখর রোদে ধানখেতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কারও নাকে-মুখে মাস্ক বা কাপড় নেই। হাতে নেই কোনো হাতমোজা বা গ্লাভস। গায়ে আছে সাধারণ টি-শার্ট। কাঁধে ঝোলানো মেশিন থেকে বেরিয়ে আসছে কীটনাশকের ‘বিষ’। কেউ আবার আগাছানাশক মিশিয়ে হাতমোজা ছাড়াই হাত দিয়ে
ছিটাচ্ছেন রাসায়নিক সার। কীটনাশকের প্যাকেট বা বোতলের গায়ে স্পষ্ট অক্ষরে বিষ লেখা থাকলেও তা নিয়ে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছেন না। যে যাঁর মতো এগুলো ব্যবহার করছেন। এভাবে করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
কৃষকদের অভিযোগ, কীটনাশক ছিটানো আর সার ব্যবহারের বিধি নিয়ে কৃষি দপ্তরের সহযোগিতা পান না তাঁরা। তাই না জেনেই এমন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের বারবার সচেতন করলেও কাজে আসছে না কোনো কিছু।
আমতলাডাঙ্গা এলাকার কৃষক আজগার ও সিরাজুল গাজী দাবি করেন, এ বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে তাঁদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাঁরা যখন সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেন তখন মাথা ঘোরে, বমির ভাব হয়। শরীরে বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়। কৃষকেরা আরও বলেন, তাঁরা সাধারণ কৃষক মানুষ। সকাল হলেই ফসলের মাঠে যেতে হয়। এত নিয়ম মেনে কীভাবে চলবেন?
আরেক কৃষক ইনছার মোড়ল বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। কৃষিই জীবিকার উৎস। বিধি মেনে চলতে গেলে স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিতে হবে কৃষি বিভাগকে। গ্রামের সাধারণ কৃষকেরা এসব বিষয়ে জানেন না।’
স্থানীয় বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম, রবিউল গাজীসহ কয়েকজন জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জমিতে ছিটানো কীটনাশকের দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়া যায় না। চলাচল করতে কষ্ট হয়। মুখ-চোখ জ্বালাপোড়া করে। অনেক সময় চামড়ায় ফোসকা পড়ে ঘা হয়ে যায়।
এ নিয়ে কথা হলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব সরদার বলেন, ধানখেতে স্প্রে করা এসব বিষাক্ত পদার্থ শরীরে ঢোকায় অনেক সময় শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ও চর্মরোগ হয়। তবে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও পোশাক পরিধান করে কীটনাশক ব্যবহার করলে এসব রোগ থেকে সুরক্ষা সম্ভব।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম বলেন, ‘ধানসহ বিভিন্ন ফসলে বালাইনাশক স্প্রে করার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন বাতাসের বিপরীতে স্প্রে করা যাবে না। স্প্রে করার সময় মাস্ক, গ্লাভস, চশমা ব্যবহার করতে হবে, যাতে শরীরের কোনো অংশে এ কীটনাশক পৌঁছাতে না পারে।’
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ সম্পর্কে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে কৃষকেরা যাতে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করেন, সে জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। বিভিন্ন উঠান বৈঠকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যাতে কীটনাশকের ঝুঁকি থেকে তাঁরা রক্ষা পেতে পারেন। কৃষকেরা অনেক সচেতন রয়েছেন। সকাল ৮টার আগে এবং বিকেল ৪টার পর ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করলে ফসলের গুণাগুণ ভালো থাকে। এ ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ অব্যাহত আছে।’
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম তুষার, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক।
৪ মিনিট আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৪ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৪ ঘণ্টা আগে