মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেটে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলছেন, আগামী জুনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা, সমতা অর্জন, জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা, পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে মেহেরপুর জেলায় মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন।
স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত স্থান মেহেরপুরর মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ আম্রকাননেই গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত করা হয় মুজিবনগরের। এ অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সীমান্তবর্তী এ জেলার প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। শিক্ষার দিক দিয়েও অনেক পিছিয়ে এ জেলা।
অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক টানাপোড়নে সেই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জেলাবাসীর। বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হলে কৃষি প্রধান এ জেলায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হবে, পাশাপাশি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন এ এলাকার মানুষ।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী কাকলি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিলাম। সুযোগ পেলাম না। ২য় বারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু বাসা থেকে অনুমতি মিলল না। কারণ মেয়েদের জেলার বাইরে গিয়ে পড়ালেখা অনেক পরিবার মেনে নিতে চায় না। বাধ্য হয়েই সব স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে মেহেরপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হতে হলো। আমার মতো অনেক মেয়ের স্বপ্নই জলাঞ্জলি দিতে হয় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার কারণে। এখন জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। অনেক মেধাবী মেয়েদের এখানে পড়ার সুযোগ হবে।’
গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সেলিম হোসেন মেহেরপুর সরকারি কলেজে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। বাবা কৃষি কাজ করেন। তারও স্বপ্ন ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে তার মতো হাজারো অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের কপাল খুলবে। উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন হবে।
মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার অভিভাবক ফৌজিয়া আফরোজ তুলি বলেন, ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তৈরি হলো স্বাধীনতার তীর্থভূমি মুজিবনগরে। এর চাইতে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই ধন্যবাদ জানান তিনি। জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় নারী শিক্ষার পথ সুগম হলো বলে মনে করেন তিনি। অভিভাবকেরাও আশার আলো দেখছেন।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধূমকেতু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর শুধু শিক্ষা ক্ষেত্র নয়, সীমান্তবর্তী এ জেলার জনজীবনে আমূল পরিবর্তন আসবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জাগরণ তৈরি হবে, মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন হবে। এখান থেকে তৈরি হবে বড় বড় উদ্যোক্তা। জেলার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মতো দক্ষ হলেও আর্থসামাজিক ও পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে বাইরে পড়তে যাওয়ার সাহস পান না। সে ক্ষেত্রে জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে এসব শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পাবেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, জুনেই উপাচার্য নিয়োগ করা হবে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপাতত যেকোনো ভাড়া অবকাঠামো অথবা মেহেরপুর সরকারি কলেজে কার্যক্রম শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে। স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরের কথা ভেবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
মেহেরপুরে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেটে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলছেন, আগামী জুনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমাণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা, সমতা অর্জন, জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা, পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে মেহেরপুর জেলায় মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সমীচীন।
স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত স্থান মেহেরপুরর মুজিবনগর। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ আম্রকাননেই গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নামে নামাঙ্কিত করা হয় মুজিবনগরের। এ অঞ্চলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সীমান্তবর্তী এ জেলার প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। শিক্ষার দিক দিয়েও অনেক পিছিয়ে এ জেলা।
অনেকের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক টানাপোড়নে সেই স্বপ্ন থেকে যায় অধরাই। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জেলাবাসীর। বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হলে কৃষি প্রধান এ জেলায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হবে, পাশাপাশি নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন এ এলাকার মানুষ।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী কাকলি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। এইচএসসি পরীক্ষার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিলাম। সুযোগ পেলাম না। ২য় বারে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু বাসা থেকে অনুমতি মিলল না। কারণ মেয়েদের জেলার বাইরে গিয়ে পড়ালেখা অনেক পরিবার মেনে নিতে চায় না। বাধ্য হয়েই সব স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে মেহেরপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হতে হলো। আমার মতো অনেক মেয়ের স্বপ্নই জলাঞ্জলি দিতে হয় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার কারণে। এখন জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। অনেক মেধাবী মেয়েদের এখানে পড়ার সুযোগ হবে।’
গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সেলিম হোসেন মেহেরপুর সরকারি কলেজে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র। বাবা কৃষি কাজ করেন। তারও স্বপ্ন ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে তার মতো হাজারো অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের কপাল খুলবে। উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন হবে।
মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার অভিভাবক ফৌজিয়া আফরোজ তুলি বলেন, ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ তৈরি হলো স্বাধীনতার তীর্থভূমি মুজিবনগরে। এর চাইতে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকেই ধন্যবাদ জানান তিনি। জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় নারী শিক্ষার পথ সুগম হলো বলে মনে করেন তিনি। অভিভাবকেরাও আশার আলো দেখছেন।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধূমকেতু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর শুধু শিক্ষা ক্ষেত্র নয়, সীমান্তবর্তী এ জেলার জনজীবনে আমূল পরিবর্তন আসবে। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে জাগরণ তৈরি হবে, মানুষের মূল্যবোধের পরিবর্তন হবে। এখান থেকে তৈরি হবে বড় বড় উদ্যোক্তা। জেলার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মতো দক্ষ হলেও আর্থসামাজিক ও পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে বাইরে পড়তে যাওয়ার সাহস পান না। সে ক্ষেত্রে জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে এসব শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পাবেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, জুনেই উপাচার্য নিয়োগ করা হবে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপাতত যেকোনো ভাড়া অবকাঠামো অথবা মেহেরপুর সরকারি কলেজে কার্যক্রম শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে। স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগরের কথা ভেবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১১ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে