Ajker Patrika

১০ মিনিটে ৩ বার সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মীরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৯
১০ মিনিটে ৩ বার সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মীরা

সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় সমবেত কণ্ঠে ১০ মিনিটে তিনবার শুদ্ধ উচ্চারণে জাতীয় সংগীত গাইলেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শহরের বিজয় উল্লাস চত্বরে সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। 

কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মীদের ব্যানারে ‘কণ্ঠে কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ কর্মসূচিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মূর্শেদ রতন, আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি আলম আরা জুঁই, কনক সরকার, কনক চৌধুরী, সুনীল চক্রবর্তীসহ অভিনয় শিল্পী, সংগীতশিল্পী ও থিয়েটারকর্মীরা অংশ নেন। এর আগে সকাল ১০টায় তাঁরা কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে সমবেত হন। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরওয়ার মূর্শেদ রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ সকলের রাষ্ট্র হয়ে উঠুক। একদল লোক সম্পদের পাহাড় গড়তে থাকবে আরেক দল লোক গরিব হতে থাকবে—এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হতে পারে না। এ জন্য সমাজে বৈষম্য বেড়েছে।’ 

অধ্যাপক ড. সরওয়ার মূর্শেদ বলেন, সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চাওয়াটাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল না। আমরা অনুভব করেছি একাত্তরে আমাদের সত্যিকারের যে দেশপ্রেম ছিল সেই প্রেমটা যেন সবার মধ্যে জাগ্রত হয়। সেই জায়গা থেকে ভেবেছি আমাদের জাতীয় সংগীতটা গাওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করছে। এখানে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। এর মাধ্যমে যেন একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাস্তবায়ন হয়, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়, আমরা দেশপ্রেমিক হয়ে উঠি।’ 

কর্মসূচিতে উপস্থিত কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী বলেন, ‘গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব খবর আসছে, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ওপর কোনো আঘাত সহ্য করা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত