Ajker Patrika

বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার হাসনাত কারাগারে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৫৫
বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার হাসনাত কারাগারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার হাসনাত কারাগারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। আজ রোববার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমান তাঁকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত শুক্রবার রাতে রংপুর থেকে বাগেরহাটের সাবেক এসপি আবুল হাসনাত খানসহ পুলিশের আরও তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

পরদিন (শনিবার) জেলার ফকিরহাট থানায় দায়ের করা একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই মামলায় পুলিশ আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলায় পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুকুম দিয়ে সরকারকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহবুব মোরশেদ লালন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাবেক তিন সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ সুপারকে আদালতে সোপর্দ করলে, আদালত তাঁকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আবুল হাসনাত খান পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা অন্যায় করেছেন। এটা তাঁর বিভিন্ন বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।

জানা যায়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘একটি ব্যালট, একটি বুলেট’ বক্তব্য এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েক দিন আগে মৎস্য অধিদপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে ‘যেখানে উন্নয়ন, সেখানেই ধ্বংস’ এমন বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এই পুলিশ সুপার। গেল বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বাগেরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

ওই মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ তন্ময়, মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার প্রমুখ।

এসব আসামির বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে উপজেলার কাটাখালী গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত