Ajker Patrika

খেলা দেখতে মেম্বার চাইলেন স্কুলের ল্যাপটপ-প্রজেক্টর, না দেওয়ায় শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯: ১৭
খেলা দেখতে মেম্বার চাইলেন স্কুলের ল্যাপটপ-প্রজেক্টর, না দেওয়ায় শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর না দেওয়ায় এক স্কুলশিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য রাকিব হাসান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।

আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১১টার দিকে উপজেলার ৫ নম্বর শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের তিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক। 

শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোববার সকাল ১১টার দিকে আমি স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ করছিলাম। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন অফিসে আসে। তারা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য স্কুলের প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ দাবি করে। আমি তাদের বলি, ল্যাপটপে রেজাল্ট তৈরির কাজ করছি, এখন দিতে পারব না। তা ছাড়া বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের ব্যাপার। এ নিয়ে আমাকে প্রথমে গালমন্দ করে। একপর্যায়ে মেম্বার প্রথমে আমাকে জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা হামিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও মাসুম আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে স্কুলের বাইরে নিয়ে যায়।’ 

এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার রাকিব হাসান। তিনি একজন আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খেলা উপলক্ষে গ্রামে সাড়ে ৫ শ লোকদের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। খেলার দেখার জন্য প্রধান শিক্ষক আমাকে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিতে চেয়েছিল। তাই আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন দিতে চায়নি। এরপর আমরা চলে এসেছি কিন্তু তাকে মেরেছি এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ 

তিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা যখন ঘটে, তখন আমি স্কুলে ছিলাম না। ঘটনার পর আমি স্কুলে পৌঁছাই। সেখানে গিয়ে দেখি ওই শিক্ষককে মারতে মারতে স্কুলের বাইরে নিয়ে গেছে। তখন আমি শিক্ষক আনোয়ারকে স্কুলে নিয়ে আসি।’ 

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন আক্তার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’ 

কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিকান্দার আবু জাফর বলেন, ‘দুপুরে ওই শিক্ষক থানায় একটি জিডি করেছেন। এখন তদন্ত করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত