Ajker Patrika

গাঁদা ফুল চাষে বিপাকে কৃষকেরা, জমির পাশেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 
জমির পাশে ফেলে রাখা গাঁদা ফুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জমির পাশে ফেলে রাখা গাঁদা ফুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাঁদা ফুলের চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কোটচাঁদপুরের চাষিরা। দাম না পেয়ে জমির পাশেই ফুল তুলে ফেলছেন তাঁরা। সেখানেই পচে নষ্ট হচ্ছে চাষির স্বপ্ন। চাহিদা কম থাকায়, দামও কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

চাষিরা জানান, এ উপজেলায় কম-বেশি সর্বত্রই গাঁদা ফুলের চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় কুশনা ইউনিয়নে। এ বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ হয়েছে। ফুলও ভালো হয়েছে, তবে আশানুরূপ দাম পাননি। এমনকি খরচের টাকা ওঠা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছেন তাঁদের।

তাঁদেরই একজন নারায়ণ বাড়িয়া গ্রামের ফুলচাষি মিলন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গেল ১২-১৫ বছর ধরে আমি গাঁদা ফুলের চাষ করে আসছি। এ বছরও ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করা হয়েছে। চাষ করতে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা ওঠার কোনো লক্ষণ দেখছি না। এরপরও আগামী দিনে যদি ভালো দাম পাওয়া যায়, সেই আশায় গাছ বাঁচানোর স্বার্থে ফুল তুলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ মাঠে আমার মতো আরও চাষি রয়েছে। আমিরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মালেক তাদেরও একই অবস্থা। তারাও দাম না পেয়ে গাছ বাঁচাতে গাছ থেকে ফুল তুলে ফেলে দিচ্ছে।’

মিলন হোসেন আরও বলেন, ‘সারা মৌসুমে যদি আমরা ফুল বিক্রি করতে পারতাম, তাহলে ২-৩ লাখ টাকা বেচা সম্ভব হতো। ভালো লাভ হতো।’

ফুল বিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা জমি থেকে ফুল তুলে ঝোপা গাঁথি। এরপর তা ঢাকাগামী বাসে তুলে দিতাম শাহবাহ মার্কেটে জন্য। তাঁরা বেচাকেনা করে বিকাশ অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।’

চাষি মিলন হোসেন বলেন, ‘এই প্রথম বড় ধরনের লোকসান হলো ফুল চাষে। যা সামনের দিনে পোষানো সম্ভব না।’

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন জানান, এ উপজেলা সব ইউনিয়ন কম-বেশি ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে কুশনা ইউনিয়নে গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয়। এ বছর কোটচাঁদপুরে ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ফুলের প্রকৃত মৌসুম জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস। ওই সময় ফুল উঠলে চাষি দাম ভালো পায়। কারণ, সে সময় ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এখন হয়তো বাজারে ফুলের চাহিদা কম। এ কারণে ফুলের দাম কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬২০ টাকায় গরুর মাংস, মাইকিং করেও মিলছে না ক্রেতা

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

এলাকার খবর
Loading...