Ajker Patrika

আড়াই কোটির টার্মিনাল চালু হয়নি ৫ বছরেও

  • পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ২০১৮ সালে শুরু হয়ে কাজ শেষ হয় পরের বছরের ডিসেম্বরে।
  • টার্মিনালে বাস কাউন্টার প্রয়োজন অন্তত ৩০টি, কিন্তু তৈরি করা হয়েছে মাত্র সাতটি।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
Thumbnail image
মাদারীপুরের কালকিনিতে ৫ বছর আগে নির্মিত পৌর বাস টার্মিনালে নেই কোনো বাস। সম্প্রতি ভুরঘাটা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পৌর বাস টার্মিনাল চালু হয়নি পাঁচ বছরেও। ফলে সন্ধ্যা হলে সেখানে বসে মাদকসেবী আর বখাটেদের আড্ডা। অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তাঁদের ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর গাড়ি থামিয়ে ওঠানামা করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের মে মাসে ভুরঘাটা এলাকায় ১ একর ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে বাস টার্মিনাল নির্মাণ শুরু করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিজান এন্টারপ্রাইজ পরের বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করে। ব্যয় হয় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখনো এটি চালু হয়নি।

পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এ ছাড়া ভুরঘাটা এলাকার বড় একটি অংশ দখল করে রেখেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। সেখানে ভিড়ের মধ্যে বাস থামলে যাত্রীরা দৌড়ে গিয়ে বা চলন্ত বাস পাশ কাটিয়ে ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন যাত্রী, চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাসযাত্রী আফিয়া বেগম বলেন, ‘ভুরঘাটা এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যানজট লেগেই থাকে। তা ছাড়া মহাসড়কের ওপর বাস দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ওঠাতে এবং নামাতে হয়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে পৌর টার্মিনালটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’

সাকুরা পরিবহনের চালক মো. মামুন বলেন, ‘মহাসড়কের মধ্যেই আমাদের যাত্রী ওঠানামা করাতে হচ্ছে। এতে করে ঝুঁকি বাড়ছে। সবার উপকারের কথা চিন্তা করে বাস টার্মিনালটি চালুর দাবি করছি।’

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, টার্মিনালটি নিরিবিলি থাকায় বখাটেরা আড্ডা দেয় আর মাদক সেবন করে। এতে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এ নিয়ে কথা হলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোহাম্মদ সজীব বলেন, ‘কালকিনি পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণের সময় পরিকল্পনার অভাব ছিল। সেখানে বাস কাউন্টার প্রয়োজন অন্তত ৩০টি, কিন্তু তৈরি করেছে মাত্র সাতটি। বিপুলসংখ্যক কাউন্টার না থাকায় টার্মিনালটি চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে। শিগগিরই চালুর জন্য কালকিনি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন। আশা করছি দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে।’

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, ‘এখন বাস টার্মিনালে কিছু কাউন্টার করতে হবে। এ ব্যাপার নিয়ে আমি সবার সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে কাউন্টারগুলো করব। এরপর টার্মিনাল চালু করতে পারব বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত