ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
নিয়মবহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মঞ্জুর হোসেন। এমআই করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। সংস্থাটির ট্রেড লাইসেন্স তাঁর নামেই। সম্প্রতি আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
যদিও এটি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধি-১৬-এ বলা আছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো কোম্পানি স্থাপন, নিবন্ধীকরণ বা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’ আবার বিধি-১৭-এ বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোনো চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না।’
বিধি অনুযায়ী, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। তবে মঞ্জুর হোসেন কোনো অনুমতি নেননি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের জুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের এমএসআর কেমিক্যাল রি-এজেন্ট সরবরাহের কাজ পেয়েছে মঞ্জুর হোসেনের প্রতিষ্ঠান এমআই করপোরেশন। এর আগে চলতি বছর একই ধরনের একাধিক ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। গত এপ্রিলে ৪৪ লাখ ও ৮ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ২৩ লাখ এবং জানুয়ারিতে ৭৭ হাজার টাকার কাজ পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ অর্থের কাজ পেয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে এমআই করপোরেশনের নামে থাকা মঞ্জুর হোসেনের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৮৪ টাকা। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল এই অ্যাকাউন্টের ট্রানজেকশনের তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, ২ মার্চ অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। ২৯ মার্চ ব্যালেন্স কমে হয় ৩৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২ এপ্রিল ২০ লাখ টাকা যোগ হয়। এক দিনের মাথায় আবার ৫৩ লাখ থেকে কমে হয় ৩৩ লাখ টাকা। আবার সেদিনই ২০ লাখ টাকা যোগ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যখন ছাত্ররাজনীতি করতাম, তখনকার সময়ের প্রতিষ্ঠান এটি। এখন এসবের সঙ্গে আমি জড়িত নই। তবে আমার নামে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হয়।’ তাঁর অভিযোগ একটি পক্ষ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সুযোগ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিষয়টি সামনে এনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
রেজিস্ট্রার ভবনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঞ্জুর হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারবে না। বিষয়টি সব অফিসে বলা আছে।’
মঞ্জুর হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কী নিয়ম রয়েছে সেটা এখন আমার জানা নেই। আমি সব বিষয় এখনো হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিয়মবহির্ভূতভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মঞ্জুর হোসেন। এমআই করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। সংস্থাটির ট্রেড লাইসেন্স তাঁর নামেই। সম্প্রতি আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
যদিও এটি সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধি-১৬-এ বলা আছে, ‘সরকারি কর্মচারী কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো কোম্পানি স্থাপন, নিবন্ধীকরণ বা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’ আবার বিধি-১৭-এ বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোনো চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না।’
বিধি অনুযায়ী, চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। তবে মঞ্জুর হোসেন কোনো অনুমতি নেননি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চলতি বছরের জুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের এমএসআর কেমিক্যাল রি-এজেন্ট সরবরাহের কাজ পেয়েছে মঞ্জুর হোসেনের প্রতিষ্ঠান এমআই করপোরেশন। এর আগে চলতি বছর একই ধরনের একাধিক ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। গত এপ্রিলে ৪৪ লাখ ও ৮ লাখ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ২৩ লাখ এবং জানুয়ারিতে ৭৭ হাজার টাকার কাজ পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ অর্থের কাজ পেয়েছেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে এমআই করপোরেশনের নামে থাকা মঞ্জুর হোসেনের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৮৪ টাকা। চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল এই অ্যাকাউন্টের ট্রানজেকশনের তালিকা আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে, ২ মার্চ অ্যাকাউন্টে টাকা ছিল ৭২ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। ২৯ মার্চ ব্যালেন্স কমে হয় ৩৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২ এপ্রিল ২০ লাখ টাকা যোগ হয়। এক দিনের মাথায় আবার ৫৩ লাখ থেকে কমে হয় ৩৩ লাখ টাকা। আবার সেদিনই ২০ লাখ টাকা যোগ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জুর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যখন ছাত্ররাজনীতি করতাম, তখনকার সময়ের প্রতিষ্ঠান এটি। এখন এসবের সঙ্গে আমি জড়িত নই। তবে আমার নামে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন হয়।’ তাঁর অভিযোগ একটি পক্ষ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে সুযোগ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিষয়টি সামনে এনে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
রেজিস্ট্রার ভবনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঞ্জুর হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারবে না। বিষয়টি সব অফিসে বলা আছে।’
মঞ্জুর হোসেনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কী নিয়ম রয়েছে সেটা এখন আমার জানা নেই। আমি সব বিষয় এখনো হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২০ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
২৩ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩০ মিনিট আগেচিরকুটে লেখা ছিল, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা, স্বামীর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোনো সরকারি কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।’
৩৪ মিনিট আগে