Ajker Patrika

শরীয়তপুরে নির্যাতনে শিশু নিহত হওয়ার অভিযোগ, সৎবাবা গ্রেপ্তার

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩: ৫৭
Thumbnail image

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সৎবাবার নির্যাতনে রাবেয়া আক্তার নামের আড়াই বছরের এক মেয়েশিশু নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সৎবাবা মঞ্জুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার রুনা বেগমের প্রথম পক্ষের স্বামী গাইবান্ধার রিকশাচালক রাশেদুল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া আক্তার। ছয় বছর আগে রুনার সঙ্গে রাশেদুলের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুটি মেয়েসন্তান। তাঁরা ঢাকার মধ্যবাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। 

বনিবনা না হওয়ায় রাশেদুলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চট্টগ্রামের টিউবওয়েল শ্রমিক মঞ্জুরুল আলমকে বিয়ে করেন রুনা। কয়েক দিন আগে তাঁরা শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার এলাকায় চলে আসেন। সেখানে নিহত শিশু রাবেয়াকে নিয়ে স্থানীয় মো. এসকেন্দারের বাসায় ভাড়া থাকতেন রুনা-মঞ্জুরুল দম্পতি। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, কান্নাকাটি ও প্রস্রাব-পায়খানা করে বলে সৎমেয়ে রাবেয়াকে দেখতে পারতেন না মঞ্জুরুল। তিনি প্রায়ই তাকে মারধর করতেন। সপ্তাহখানেক আগে ডোমসারের ভাড়া বাসায় রাবেয়াকে হাত-পা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতন করেন মঞ্জুরুল। এরপর থেকে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

গত রোববার রাতে আবারও রাবেয়াকে মারধর করেন মঞ্জুরুল। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল সোমবার সকালে রাবেয়াকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন মা রুনা আক্তার। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য রাবেয়াকে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং সৎবাবা মঞ্জুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

নিহত রাবেয়ার মা রুনা আক্তার বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় স্বামী মঞ্জুরুল আলম মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। তাঁর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। বিকেলে আমার মেয়ে মারা যায়। আমি এর বিচার চাই।’ 

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মিতু আক্তার বলেন, ‘নিহত রাবেয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া তার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর ছিল। আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিই। কিন্তু তাঁকে নেওয়া হয়নি। পরে শিশুটি মারা যায়।’ 

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য রাবেয়ার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সৎবাবা মঞ্জুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত