Ajker Patrika

ফল পরিবর্তনের সুযোগ নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই: ইসি আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুন ২০২২, ১৭: ৪১
Thumbnail image

নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই। কমিশন শুধু নির্বাচনের ব্যাপারে সকল সহযোগিতা করে, নির্বাচন সরাসরি পরিচালনা করে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নির্বাচন কমিশনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। 

সাংবাদিকদের দিকে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘ফলাফল পরিবর্তনের সুযোগ আছে? নির্বাচন পরিচালনা করেন রিটার্নিং অফিসার। তিনি সমস্ত কেন্দ্র ঠিক করেন, সবার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।’ 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার, তিনি পাঠকের কাজ করেন উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, ‘প্রতিটা কেন্দ্রে নির্বাচন শেষে গণনা করে তারাই ফলাফল ঘোষণা করে দেন। ওনার এই ফলাফলটাই হলো চূড়ান্ত। সেটার ভিত্তিতেই রিটার্নিং অফিসার সেই ফলাফল কম্পাইল করে, যোগ বিয়োগ করে কেন্দ্রীয়ভাবে তা ঘোষণা করেন। ফলাফল পরিবর্তন, পরিবর্ধন করার কোন সুযোগ তার নেই। প্রিসাইডিং অফিসারের পাঠানো ফলাফলে কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট, অফিসার সবারই সাক্ষর থাকে। ফলাফল ফাইনাল করে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হলে কমিশনের পক্ষ থেকে সব হিসেব মিলিয়ে দেখে তারপর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।’ 

নির্বাচন কমিশনার জানান, ‘এরপরেও প্রোসেস আছে। ফলাফল পছন্দ না হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনাল আছে, সেই ট্রাইব্যুনালে তিনি যেতে পারেন। ছয় মাসের মধ্যে সেখানে রায় হবে। তাও পছন্দ না হলে আপিলের ট্রাইব্যুনাল আছে, এরপর মহামান্য আদালত আছে। সুতরাং এখানে রিটার্নিং অফিসারের রেজাল্ট ম্যানিপুলেট করার কোন সুযোগ নেই। রেজাল্টের কপি প্রার্থী ও তাঁদের এজেন্টদের কাছেও আছে।’ 

কুমিল্লার কোন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যাতে তাঁদের ওপর কোন চাপ না থাকে। এ ছাড়া বাকিদেরও অনেক বেছে স্কুল কলেজের শিক্ষিত কর্মকর্তাদের নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর।   

কিছু কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত কেন হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০৫ কেন্দ্রের ফল তখনই এসে গিয়েছিল। কিন্তু ৭৪-৭৫ পরে ওই সব কেন্দ্রের প্রার্থীদের সমর্থকেরা এসে সেখানে গন্ডগোল করে। রেজাল্ট ঘোষণার পরিস্থিতি তখন ছিল না। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যেই ২০-২৫ মিনিট সময় লেগেছিল সেটাই। এরপর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার জন্য এমপি বাহাউদ্দীন বাহারকে চিঠি দেওয়ার পরেও তিনি এলাকা ছাড়েননি। একজনের এমন আচরণ সামনের দিনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। চিঠি দেওয়ার পরে এলাকা ত্যাগ না করলেও এমপি বাহার প্রচারণার কাজ থেকে বিরত ছিলেন এটাকে ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখার কথা উল্লেখ করেন তিনি। 

এমপি বাহাউদ্দীন বাহারকে ইসির চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আইন আইনের জায়গায় থাকবে। একজন কী বললেন না বললেন তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে আমরা কোন মন্তব্য করব না। এতে আইনেও কোন পরিবর্তন আসবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত