Ajker Patrika

হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নাট্যনির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ–সভাপতি ও নাট্যনির্মাতা মো. রাফাত মজুমদার রিংকুকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্লাহ কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন। 

বিকেলে রাফাত মজুমদার রিংকুকে গুলশান থানায় দায়ের করা গুলশান ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মো. নাঈমুর রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রাজু আহমেদ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে রাফাত মজুমদারের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

আদালত জানান, জামিনের আবেদন শুনানির জন্য একটা তারিখ ধার্য করা হবে। তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি হবে। 

এর আগে গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বর থেকে রাফাত মজুমদারকে আটক করে গুলশান থানা-পুলিশ। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে হাজির করা হয়। 

গত ১২ সেপ্টেম্বর নিহত নাঈমুর রহমানের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৬৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই গুলশান ডিগ্রী কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ নাঈমুর রহমান গুলশান থানার শাহজাদপুর মূল সড়কে সুবাস্তু নজরভ্যালির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। বিকেল ৪টার সময় অন্যান্যদের সঙ্গে নাঈমুর গুলিবিদ্ধ হন। পরে পাশের এ এম জেড হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ সনাক্ত করেন বাবা রফিকুল ইসলাম। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এজাহার নামীয় আসামিদের নির্দেশে এবং তাঁদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। 

তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, আসামি রাফাত মজুমদার রিঙ্কু ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এজাহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। রাফাত জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাঁর নাম ঠিকানাও যাচাই করা হয়নি। বিধায় তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। 

শুনানির সময়ে রাফাত মজুমদার আদালতকে বলেন, তিনি এই ধরনের কোনো হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন। তাঁকে মিথ্যাভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে তিনি আদালতকে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলাম না। তদন্ত কর্মকর্তা ভুল তথ্য দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে আমি কখনোই ছিলাম না।’ 

রাফাত মজুমদারের আইনজীবী আবুল কাশেম বলেন, রাফাত মজুমদার আদালতে বলেছেন তিনি ছাত্রলীগের কেউ নন। তাঁকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, রিংকু এই সময়ে জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন। তার নির্মিত নাটকের সংখ্যা শতাধিক। রিংকুর নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে রঙিন আশা, পুতুলের সংসার, ইতিবৃত্ত, নরসুন্দরী, কবর, বন্ধন, ব্লগার মিতু, জাল, কাটুস, অতিরিক্ত, নোঙ্গর, রিকশা গার্ল অন্যতম। 

নাটক নির্মাণ করে রাফাত মজুমদার রিংকু দীপ্ত টিভি অ্যাওয়ার্ড, মেরিল প্রথম আলো অ্যাওয়ার্ডসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত