নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন বলে জানিয়েছেন চিন্তক, লেখক, গবেষক, কবি ফরহাদ মজহার। আজ শনিবার রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসে সিরাজুল আলম খান সেন্টারের সেমিনার হলে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসিফ ইকবালের স্মরণ’ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশ পরিচালনায় বৈষম্য দূর করতে আমাদের পূর্বপুরুষেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে তৎকালীন ক্ষমতাসীনেরা আবার বৈষম্যমূলক ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পুনর্বহাল করে। অভ্যন্তরীণ পরাধীনতার এই শৃঙ্খলা ভেঙে স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার সংগ্রাম গড়ে তোলেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
তাঁরা বলেন, ইতিহাসের পাতায় আমরা দেখি, ১৯৭২-৭৫ সালের ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন এবং পরে দলীয় শাসনবিরোধী আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা বিরুদ্ধে এক জাগরণ। এই আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন আমাদের সংগ্রামী সহযোদ্ধা শহীদ আসিফ ইকবাল।
রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বিনির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।
তাঁরা বলেন, ‘আমরা দেখছি, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, তা পাশ কাটিয়ে আবারও দলীয় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েমের অপচেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে অন্য যা-ই করা হবে, বর্তমান প্রজন্ম তা রুখে দাঁড়াবে।’
অবিলম্বে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল শক্তি ও দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
তাঁরা বলেন, আসুন, রাজনৈতিক দল ও শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই।
শহীদ আসিফ ইকবাল ও গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। সমবেদনা জানানো হয় সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি।
যুব বাঙালি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রায়হান তানভীর। সঞ্চালনা করেন কাজী তানসেন।
আলোচনায় অংশ নেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) নেতা গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান মুনির, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, জুলাই সংগঠক মিরাজ আল ওয়াসি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাকিব হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, জুলাই ফোর্স আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জেএসডি) নাহিদুল ইসলাম, যুব বাঙালির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাগর খালাসী প্রমুখ।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন বলে জানিয়েছেন চিন্তক, লেখক, গবেষক, কবি ফরহাদ মজহার। আজ শনিবার রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসে সিরাজুল আলম খান সেন্টারের সেমিনার হলে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসিফ ইকবালের স্মরণ’ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশ পরিচালনায় বৈষম্য দূর করতে আমাদের পূর্বপুরুষেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে তৎকালীন ক্ষমতাসীনেরা আবার বৈষম্যমূলক ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পুনর্বহাল করে। অভ্যন্তরীণ পরাধীনতার এই শৃঙ্খলা ভেঙে স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার সংগ্রাম গড়ে তোলেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
তাঁরা বলেন, ইতিহাসের পাতায় আমরা দেখি, ১৯৭২-৭৫ সালের ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন এবং পরে দলীয় শাসনবিরোধী আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা বিরুদ্ধে এক জাগরণ। এই আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন আমাদের সংগ্রামী সহযোদ্ধা শহীদ আসিফ ইকবাল।
রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বিনির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।
তাঁরা বলেন, ‘আমরা দেখছি, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, তা পাশ কাটিয়ে আবারও দলীয় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েমের অপচেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, বৈষম্যহীন রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিবর্তে অন্য যা-ই করা হবে, বর্তমান প্রজন্ম তা রুখে দাঁড়াবে।’
অবিলম্বে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল শক্তি ও দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
তাঁরা বলেন, আসুন, রাজনৈতিক দল ও শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই।
শহীদ আসিফ ইকবাল ও গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। সমবেদনা জানানো হয় সকল শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি।
যুব বাঙালি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রায়হান তানভীর। সঞ্চালনা করেন কাজী তানসেন।
আলোচনায় অংশ নেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) নেতা গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান মুনির, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম, জুলাই সংগঠক মিরাজ আল ওয়াসি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাকিব হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, জুলাই ফোর্স আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, জুলাই যোদ্ধা (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জেএসডি) নাহিদুল ইসলাম, যুব বাঙালির কেন্দ্রীয় সংগঠক সাগর খালাসী প্রমুখ।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘট
৩৭ মিনিট আগেআজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে বাহরাইনের মানামা। শহরটির বায়ুমান ১৭৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, মিশরের কায়রো ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে...
৩৮ মিনিট আগেবরগুনার বিভিন্ন বনাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় প্রতিদিন সংরক্ষিত বনভূমির শত শত গাছপালা কেটে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশেই চলছে অবৈধ সব করাতকল। গড়ে উঠছে শত শত ঘরবাড়ি। সহস্রাধিক গাছ কেটে ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বনের ভেতর করা হয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। গহিন বনের ভে
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে বারবার রেখেছে সাহসিকতার স্বাক্ষর। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানেও এই উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রেখেছে ব্যতিক্রমী ভূমিকা।
১ ঘণ্টা আগে