Ajker Patrika

ঈদে আতশবাজি ফোটানো নিয়ে ঝগড়া: রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৫

মাদারীপুর প্রতিনিধি
রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংঘর্ষ
রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংঘর্ষ

মাদারীপুরের রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঈদের সময় আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ব্যাপারীপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ফুচকা ব্রিজের কাছে ঈদের পর ২ এপ্রিল আতশবাজি ফোটায় পাশের বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা। এ সময় ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

এরই জেরে ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈরের ব্যাপারীপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান বাদী হয়ে জুনায়েদ আকনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে রাজৈর থানায় মামলা করেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনিক খান রাজৈর বাজারে গেলে জুনায়েদ ও তার বন্ধুরা ধাওয়া দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টার দিকে রাজৈরের পশ্চিম রাজৈর ও বদরপাশা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় কয়েকটি দোকান ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় রাজৈর থানার ওসি, পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, মো. সালাউদ্দিন (১৮), সাগর আকন (২৩), ওমর মোল্লা (২২), ইমন খান (২০) ও সাব্বির শেখ (১৮)। তা ছাড়া রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ, উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক ও জুয়েল আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংঘর্ষ
রাজৈরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংঘর্ষ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমি, ওসি তদন্তসহ ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। তা ছাড়া উভয় গ্রামের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত