Ajker Patrika

গুলি নয়, হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিক্ষোভ দমাতে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার কথা স্বীকার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)। তবে বাহিনীটির দাবি—তাঁরা হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি চালানো বা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করেনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ দাবি করা হয়।

ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ দমনে র‍্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে কয়েক দিন ধরে। হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যে করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার পাশাপাশি গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ তোলা হচ্ছিল বাহিনীটির বিরুদ্ধে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়, ‘অনেকটা নিরুপায় হয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করা এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি করা হয়নি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।’ 

র‍্যাব জানায়, সহিংসতা ও নাশকতার সময় দুর্বৃত্তরা কোমলমতী শিশু-কিশোরদের আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করে। তখন ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাঁরা। কোমলমতী শিশু-কিশোররা সামনে থাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। 

হেলিকপ্টার টহল কার্যক্রম নিয়ে র‍্যাব জানায়, সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা গত ১৮ জুলাই সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই শাটডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে, রাষ্ট্রবিরোধী দুষ্কৃতকারী ও সন্ত্রাসীচক্র পরিকল্পিতভাবে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও যানবাহনে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দায়িত্ব পালনকারী র‍্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর দুষ্কৃতকারী ও নাশকতাকারীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মধ্যযুগীয় কায়দায় অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলা ও আক্রমণে শতাধিক র‍্যাব সদস্য আহত হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, রাজধানীর বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে দুর্বৃত্তরা হামলা ও আক্রমণ চালিয়ে সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবরুদ্ধের পর ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। ১৮ জুলাই বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনকারীদের আক্রমণের শিকার হয়ে আটকে পড়া ডিএমপির সদস্যরা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাদে অবস্থান নেন। পরে বেলা সোয়া ২টার দিকে ৬১ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে র‍্যাবের হেলিকপ্টার। এ ছাড়া ২০ জুলাই র‍্যাবের হেলিকপ্টার ব্যবহারের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৬ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। 

র‍্যাব বলছে, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সরকারি স্থাপনা রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‍্যাব ফোর্সেসের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত