নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান, সেটিকে শুধু ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বুয়েট সংকট: সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে’ একক সংবাদ সম্মেলন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এসব কথা বলেন।
বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহৎ এই ছাত্রসংগঠনের অবস্থান ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাত্রদল অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ছাত্রদল মনে করে, ছাত্রলীগের প্রাণঘাতী নির্যাতন থেকে নিস্তার পেতেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শহীদ আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করার পরে মুষ্টিমেয় দু-একজন বাদে বুয়েটের সব শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যদিও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে নিরাপত্তার অভাবে তারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। ছাত্রদল মনে করে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আপাতদৃষ্টিতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যে অবস্থান তার একক দায়ভার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক। এমন অবস্থায় আপনারা তাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। আপনারা কী মনে করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতির বিপক্ষে? না কি পুরো ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে? এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে স্লোগান দিচ্ছে ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও; ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুঁশিয়ার সাবধান। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন শিক্ষার্থীদের সকল স্লোগান কিন্তু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সেখানে কিন্তু অপরাপর কোনো ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় না।’
ছাত্রদলের এমন ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয় বুয়েটের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের। তবে তাঁরা কেউই আলাদাভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য বা মন্তব্য করতে রাজি হন নাই। তবে গতকাল মঙ্গলবার বুয়েটের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের’ দাবিতে খোলা চিঠি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দেশমাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, বুয়েটকে নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে পলিসি গ্রহণ করেছিলেন, তার বাস্তবায়ন করুন। বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতির বাইরে রাখুন, প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও। কারণ, সুবিচারের জন্যই আইনের সৃষ্টি। আমাদের অনুরোধ, আপনি দয়া করে আমাদের ক্যাম্পাসে আসুন; ছাত্ররাজনীতিহীন বুয়েট কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আদর্শ ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছে, সেটা আমরা আপনাকে দেখাতে চাই।’
বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালু করার পদক্ষেপ বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার এর কথা বলে ছাত্রলীগ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার যে কথা বলেছে, তা একটি নিষ্ঠুর প্রতারণা। ছাত্ররাজনীতির নামে তারা ক্যাম্পাসে একক দখলদারিত্ব এবং ছাত্র নির্যাতনের টর্চার সেল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে ‘টোটালিটারিয়ান ভায়োলেন্ট এক্টিভিজম’ করছে। ক্যাম্পাসে ভায়োলেন্স এবং টর্চারকে ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না। ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হলে সব রাজনৈতিক সংগঠনরে সহাবস্থান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘দেশ এখন গভীর সংকটে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিকৃষ্টতম হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ আবারও আদালতের রায় নিয়ে ছাত্ররাজনীতি করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তা ছাত্ররাজনীতির জন্য কলংকজনক অধ্যায়। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আদালত বুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে অবস্থান, সেটিকে শুধু ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বুয়েট সংকট: সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন এবং গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে’ একক সংবাদ সম্মেলন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এসব কথা বলেন।
বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহৎ এই ছাত্রসংগঠনের অবস্থান ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাত্রদল অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ছাত্রদল মনে করে, ছাত্রলীগের প্রাণঘাতী নির্যাতন থেকে নিস্তার পেতেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শহীদ আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করার পরে মুষ্টিমেয় দু-একজন বাদে বুয়েটের সব শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যদিও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে নিরাপত্তার অভাবে তারা ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে। ছাত্রদল মনে করে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আপাতদৃষ্টিতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যে অবস্থান তার একক দায়ভার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা চায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক। এমন অবস্থায় আপনারা তাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। আপনারা কী মনে করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা শুধু ছাত্রলীগের রাজনীতির বিপক্ষে? না কি পুরো ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে? এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে স্লোগান দিচ্ছে ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও; ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুঁশিয়ার সাবধান। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন শিক্ষার্থীদের সকল স্লোগান কিন্তু ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সেখানে কিন্তু অপরাপর কোনো ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় না।’
ছাত্রদলের এমন ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয় বুয়েটের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কদের। তবে তাঁরা কেউই আলাদাভাবে এ বিষয়ে বক্তব্য বা মন্তব্য করতে রাজি হন নাই। তবে গতকাল মঙ্গলবার বুয়েটের আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের’ দাবিতে খোলা চিঠি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দেশমাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, বুয়েটকে নিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে পলিসি গ্রহণ করেছিলেন, তার বাস্তবায়ন করুন। বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতির বাইরে রাখুন, প্রয়োজনে আইন সংস্কার করে হলেও। কারণ, সুবিচারের জন্যই আইনের সৃষ্টি। আমাদের অনুরোধ, আপনি দয়া করে আমাদের ক্যাম্পাসে আসুন; ছাত্ররাজনীতিহীন বুয়েট কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের জন্য যে আদর্শ ক্যাম্পাস হয়ে উঠেছে, সেটা আমরা আপনাকে দেখাতে চাই।’
বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালু করার পদক্ষেপ বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার এর কথা বলে ছাত্রলীগ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনার যে কথা বলেছে, তা একটি নিষ্ঠুর প্রতারণা। ছাত্ররাজনীতির নামে তারা ক্যাম্পাসে একক দখলদারিত্ব এবং ছাত্র নির্যাতনের টর্চার সেল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে ‘টোটালিটারিয়ান ভায়োলেন্ট এক্টিভিজম’ করছে। ক্যাম্পাসে ভায়োলেন্স এবং টর্চারকে ছাত্ররাজনীতি বলা যায় না। ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হলে সব রাজনৈতিক সংগঠনরে সহাবস্থান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘দেশ এখন গভীর সংকটে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিকৃষ্টতম হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ আবারও আদালতের রায় নিয়ে ছাত্ররাজনীতি করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তা ছাত্ররাজনীতির জন্য কলংকজনক অধ্যায়। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আদালত বুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেবে। মানুষ বহু বছর পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। আমরা আশা করি, আল্লাহর রহমতে মানুষের ভালোবাসার ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
২৮ মিনিট আগেমতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর সরকারের উদ্যোগে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
৩০ মিনিট আগেঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দক্ষিণাঞ্চলগামী লেনে বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের চাপ রয়েছে। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। দূরপাল্লার যাত্রী ছাড়াও ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর, পাঁচ্চর, সূর্যনগর, মালিগ্রাম এবং ভাঙ্গা পর্যন্ত আসা যাত্রীদের সংখ্যাও রয়েছে অনেক। যা
৪৩ মিনিট আগেসৈয়দপুরে পার্কের সুইমিংপুলের পানিতে ডুবে মো. আব্দুল্লাহ (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার শহরের কুন্দল এলাকার রংধনু পার্কে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে