Ajker Patrika

শেষ কর্মদিবস ছিল খুন হওয়া জাহাজ মাস্টার কিবরিয়ার, চলছিল মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image
খুন হওয়াদের একজন জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস ছিল খুন হওয়া জাহাজ মাস্টার কিবরিয়া বিশ্বাসের (৬০)। জাহাজের মালামাল খালাস করে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন বাড়িতে। আগামী ১০ জানুয়ারি বড় মেয়ে হাবিবা আক্তারের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল, তাই চলছিল এর প্রস্তুতি। কিন্তু নৃশংসভাবে খুন হন কিবরিয়া বিশ্বাস।

কিবরিয়া বিশ্বাস ফরিদপুর জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের জোয়াইর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৪০ বছর আগে জাহাজের কাজে যোগ দেন। এমভি আল বাখেরা জাহাজে ছিল তার চাকরি জীবনের শেষ কর্মদিবস। কিন্তু গতকাল সোমবার সকালে চাদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে ওই জাহাজ থেকে খুন হওয়া আরও ছয়জনের সঙ্গে উদ্ধার করা হয় তাঁর লাশ। কিবরিয়া বিশ্বাসের পরিবারও লাশটি শনাক্ত করে। এ ঘটনায় তার ভাগনে শেখ সবুজও নিখোঁজ রয়েছেন।

সোমবার রাত ১০টার দিকে নিহত কিবরিয়া বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম চলছে। খবর পেয়ে ভিড় করছেন পাড়া প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ সকলে।

কিবরিয়া বিশ্বাসের ভাই সিরাজ বিশ্বাস বলেন, ‘জাহাজের ওই ট্রিপটি ছিল আমার ভাইয়ের শেষ কাজ। মাল রেখেই বাড়ি চলে আসতে চেয়েছিলেন। এসে বড় আয়োজন করে বড় মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে মেয়ের বিয়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন। সকল প্রস্তুতিও শেষ।

জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া বিশ্বাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত
জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া বিশ্বাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত

খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন মো. মোজাহিদুল রহমান নামে এক স্বজন। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, জাহাজের কোনো মালামাল নেওয়া হয়নি। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। যাতে এমন আর নৃশংস হত্যাকাণ্ড না ঘটে।

এদিকে কিবরিয়ার ভাগনে শেখ সবুজের বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরেই সবুজদের বাড়ি। তার বৃদ্ধ মা রাজিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত