রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: সাবেক শিক্ষকসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের তৎকালীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী। 

এরপর গত ১৬ মার্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার রায়ের দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ। 

 ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 

ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেন। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। 

হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া সাজা কমিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেন আসামিরা। অন্যদিকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুজনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা আপিল বিভাগে শুনানি হয়। এখন আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা।