Ajker Patrika

ওমরাহযাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৯
ওমরাহযাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

ওমরাহযাত্রীদের জিম্মি করে কিছু ট্রাভেল এজেন্সির যোগসাজশে বিমান বাংলাদেশের মতিঝিল সেলস শাখার কিছু অসাধু কর্মকর্তা টিকিটের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ। এমন জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে বিমানের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওমরাহ হজযাত্রীদের এমন সংকটের কথা তুলে ধরে এই সংগঠন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বক্তারা বলেন, গুটি কয়েক ট্রাভেল এজেন্সিকে শত শত টিকিট বরাদ্দ দিয়ে ঢাকা-জেদ্দা রুটে এক ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। বিমানের প্রকৃত ভাড়া ৬৭ হাজার টাকা হলেও এই সিন্ডিকেট ঢাকা-জেদ্দা রুটে বিমান ভাড়া নিচ্ছে ৭৮ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি টিকিটে ওমরাহযাত্রীদের ১১ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত প্রদান করতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংগঠনটি জানায়, এসবি, এনএসআই, ডিবি, সিআইডি, র‍্যাবের মাধ্যমে মতিঝিল বাংলাদেশ বিমান অফিসের খাতা ও কম্পিউটার পরীক্ষা করলেই কোন কোন এজেন্সিকে কত টিকিট দিয়েছে তার হিসাব পাওয়া যাবে। এতেই বোঝা যাবে কত ট্রাভেল এজেন্সি কত কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করল। 

বিমানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বিমানে প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ জনের সিট খালি যাচ্ছে অভিযোগ করে সংগঠনটি আরও জানায়, হজ ও ওমরাহর মৌসুম এলেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হঠাৎ করেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, যা অনৈতিক। এতে বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। বাংলাদেশ বিমান শতকরা ৩০ শতাংশ হজ ও ওমরাহযাত্রী পরিবহন করছে, বাকি যাত্রী পরিবহন করে বিদেশি এয়ারলাইনস। এতে করে বাংলাদেশের কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। টিকিটের অতিরিক্ত ভাড়া বাবদ বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো এসব ডলার পাচ্ছে। আমরা এই ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। 

সংগঠনটির দাবি-
১. বাংলাদেশের চৌকস গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থেকে গত দুই মাসে কোন ট্রাভেল এজেন্সিকে কত টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং এক টিকিটে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে সিন্ডিকেট হোতারা শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে কামাই করছে তার হিসেব নিয়ে পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ এবং এদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধির অধীনে দণ্ড প্রদান করা। 
২. বিমানের দুর্নীতিবাজ সেলস কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তসহ আইনের আওতায় এনে বিচার করা। 
৩. বিমানের অযৌক্তিক ভাড়া প্রত্যাহার করা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তাজুল ইসলাম, মাওলানা বশির আহমেদ, কামাল উদ্দিন, মো. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু দাউল ফয়সাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত