রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর
গাজীপুরের সাতখামাইর স্টেশন থেকে পান কিনে রেললাইনের পাশের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন (৬৭)। পাশে রেললাইনে দাঁড়ানো মহুয়া ট্রেনে হইচই শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখেন বগিতে আগুন। হাতের পান ফেলে দৌড়ে কাছে যান তিনি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের তাপকে উপেক্ষা করে ট্রেন থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পাওয়ার কারের বগিটি আলাদা করেন। তাঁর এই বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে ট্রেনের অন্য বগিগুলো আগুন থেকে রক্ষা পায়, আর প্রাণে বেঁচে যান ট্রেনের কয়েক হাজার যাত্রী।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সদর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দৌলভপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত লোকোটিভ মাস্টার।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাড়ির পাশে সাতখামাইর রেলস্টেশনের পাশের বাজার থেকে পান কিনে রেললাইনের পাশের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ আগুন আগুন বলে ডাক–চিৎকার শুনে দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখি ট্রেনে আগুন জ্বলছে। রেলওয়েতে চাকরি করার কারণে ট্রেনের অনেক কাজকর্ম আমার জানা ছিল।
ফলে দুই বগির মাঝের হুক খুলে পেছনের–সামনের বগিগুলো সরিয়ে নিই। এতে অন্যান্য বগিতে আগুন লাগতে পারেনি। আমি যখন দুটি বগির মাঝখানের হুক খোলার কাজ করি, তখন পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। গায়ে প্রচণ্ড গরম অনুভব করি। তবুও পিছপা হইনি। আমার অছিলায় হয়তো অনেক মানুষ নিরাপদে বেঁচে ফিরেছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমুল আকন্দ রনি বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন কাকার বিচক্ষণতার জন্য আজ হাজারো মানুষ প্রাণে বেঁচে গেল। মহান আল্লাহ তাআলা তো সর্বোচ্চ রক্ষাকারী। আমরা যখন আগুনের তাপে কাছে যেতে পারি না, তখন শাহাবুদ্দিন কাকা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উভয় প্রান্তের বগিগুলোর হুক খুলে আলাদা করেন। এমন না হলে মুহূর্তেই অন্যান্য বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ত।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ‘হঠাৎ করে আগুন লাগার ফলে অনেকের মাথায় কাজ করছিল না। কে কী করবে। অনেকে পানি নিয়ে ছুটে আসে। কিন্তু বয়স্ক শাহাবুদ্দিন যে কাজটি করেন, সেটির জন্য সবাই নিরাপদ থাকল।’
জানতে চাইলে ট্রেনের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার ডাক–চিৎকার শুনে ট্রেনের লোকোটিভ মাস্টার ট্রেনটি আস্তে আস্তে থামিয়ে ফেলেন। এরপর যাত্রীরা এদিক–সেদিক লাফালাফি করে নামতে শুরু করেন। ঘটনার পরপরই একজন বয়স্ক মানুষ ট্রেনের জেনারেটর বগি থেকে অন্যান্য বগি আলাদা করার কাজটি করেন। তা না হলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।
ট্রেনের পাওয়ার কারসহ ১০টি বগি ছিল। পরে জানতে পারি, তিনি আমাদের রেলওয়ের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত লোকোটিভ মাস্টার ছিলেন। বিষয়টি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
গাজীপুরের সাতখামাইর স্টেশন থেকে পান কিনে রেললাইনের পাশের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন (৬৭)। পাশে রেললাইনে দাঁড়ানো মহুয়া ট্রেনে হইচই শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখেন বগিতে আগুন। হাতের পান ফেলে দৌড়ে কাছে যান তিনি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের তাপকে উপেক্ষা করে ট্রেন থেকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পাওয়ার কারের বগিটি আলাদা করেন। তাঁর এই বিচক্ষণ সিদ্ধান্তের কারণে ট্রেনের অন্য বগিগুলো আগুন থেকে রক্ষা পায়, আর প্রাণে বেঁচে যান ট্রেনের কয়েক হাজার যাত্রী।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সদর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দৌলভপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত লোকোটিভ মাস্টার।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাড়ির পাশে সাতখামাইর রেলস্টেশনের পাশের বাজার থেকে পান কিনে রেললাইনের পাশের রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ আগুন আগুন বলে ডাক–চিৎকার শুনে দৌড়ে কাছে গিয়ে দেখি ট্রেনে আগুন জ্বলছে। রেলওয়েতে চাকরি করার কারণে ট্রেনের অনেক কাজকর্ম আমার জানা ছিল।
ফলে দুই বগির মাঝের হুক খুলে পেছনের–সামনের বগিগুলো সরিয়ে নিই। এতে অন্যান্য বগিতে আগুন লাগতে পারেনি। আমি যখন দুটি বগির মাঝখানের হুক খোলার কাজ করি, তখন পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। গায়ে প্রচণ্ড গরম অনুভব করি। তবুও পিছপা হইনি। আমার অছিলায় হয়তো অনেক মানুষ নিরাপদে বেঁচে ফিরেছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজমুল আকন্দ রনি বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন কাকার বিচক্ষণতার জন্য আজ হাজারো মানুষ প্রাণে বেঁচে গেল। মহান আল্লাহ তাআলা তো সর্বোচ্চ রক্ষাকারী। আমরা যখন আগুনের তাপে কাছে যেতে পারি না, তখন শাহাবুদ্দিন কাকা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উভয় প্রান্তের বগিগুলোর হুক খুলে আলাদা করেন। এমন না হলে মুহূর্তেই অন্যান্য বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ত।’
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ‘হঠাৎ করে আগুন লাগার ফলে অনেকের মাথায় কাজ করছিল না। কে কী করবে। অনেকে পানি নিয়ে ছুটে আসে। কিন্তু বয়স্ক শাহাবুদ্দিন যে কাজটি করেন, সেটির জন্য সবাই নিরাপদ থাকল।’
জানতে চাইলে ট্রেনের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার ডাক–চিৎকার শুনে ট্রেনের লোকোটিভ মাস্টার ট্রেনটি আস্তে আস্তে থামিয়ে ফেলেন। এরপর যাত্রীরা এদিক–সেদিক লাফালাফি করে নামতে শুরু করেন। ঘটনার পরপরই একজন বয়স্ক মানুষ ট্রেনের জেনারেটর বগি থেকে অন্যান্য বগি আলাদা করার কাজটি করেন। তা না হলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।
ট্রেনের পাওয়ার কারসহ ১০টি বগি ছিল। পরে জানতে পারি, তিনি আমাদের রেলওয়ের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত লোকোটিভ মাস্টার ছিলেন। বিষয়টি রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
১০ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
১০ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে