Ajker Patrika

সিআরপি ঘুরে রোগীদের সেবা নিয়ে যে সব অভিযোগ তুললেন সারজিস 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

অব্যবস্থাপনা, নোংরা পরিবেশ ও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগে সাভারের সিআরপি পরিদর্শন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন সিআরপিতে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এখানে এসেছেন বলে জানিয়েছেন সারজিস আলম।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় সিআরপি প্রধান কার্যালয়ে ছাত্রদের সঙ্গে উপস্থিত হন সারজিস আলম। পরে সিআরপিতে থাকা আহতদের সঙ্গে দেখা করেন ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে সারজিস আলম বলেন, ‘এখানে আমাদের অর্ধশত বা তারও বেশি আমাদের আন্দোলনকারী রোগী আছে, আহত ভাই বোনেরা আছে। অসংখ্য রোগী আছে। আমরা ঢাকার প্রায় হাসপাতালে শুনি সাভার সিআরপিতে পাঠানোর কথা। এটা হচ্ছে সিআরপির প্রধান শাখা। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তার আগে অনেক অভিযোগ গিয়েছিল আমাদের কাছে, অনেক ছবি, ভিডিও পেয়েছি। এখানে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগ, আমাদের স্টাফ ভাইবোনেরা রয়েছে, তাদের কাছে আমরা সবচেয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, কিন্তু তাদের ব্যবহার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আমরা পেয়েছি।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা চাই যা হয়েছে, হয়েছে। আজ থেকে যেন তারা নিজের ভাই বোন মনে করে ব্যবহার করেন। এখানে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, যেদিন অভিযোগ দেওয়া হয় সেদিন ভালো, তারপর আবার যেদিন যার যেভাবে মন চায় সেভাবে দেয়, মান এমন থাকে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলি, এটা ঠিক করতে হবে। রোগীকে রোগীর মতো করে দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বেড দেখেছি, পরিত্যক্ত। ওগুলো ৩-৪ বছর আগে পরিত্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পরিত্যক্ত কেবিনে রোগী কেন থাকবে। সেখানে মশার উপদ্রব। খুবই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা, দেখে মনে হবে একটা গোডাউন। ওখানে নোংরা, কিন্তু রোগীরা থাকছে। আমরা এসেছি শুনে দ্রুত স্যাভলন দিয়ে সব পরিষ্কার করা হচ্ছে। এটা কি একদিনের জন্য পরিষ্কার রাখার বিষয়। ৩৬৫ দিন পরিষ্কার রাখতে হবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের টিম প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’

সারজিস আলম সিআরপি পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পর অভিযোগের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকেরা সিআরপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে সিআরপির কর্মকর্তারা নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে দায় স্বীকার করেন।

সিআরপির প্রশাসনিক প্রধান শাহ মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের মতো তারা দেখেছে, এটা ভ্যালিড। আমরা চেষ্টা করব যে সমস্ত দিক তারা উল্লেখ করেছে, সে সমস্ত দিক আমরা আরও সতর্ক হওয়ার।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে আমাদের এখানে একটা টিম আসত। আমাদের এখানে তারা ক্লিন করত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে তারা আসতেছে না, তাই আমরা একটু বিপদে পড়েছি। আমাদের নিজস্ব জনবল দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আরও লোক প্রয়োজন, দ্রুতই নিয়োগ দিব। আশা করি, এ সমস্যা আর থাকবে না।’ এ সময় সিআরপির হেড অব প্রোগ্রাম শাহনাজ সুলতানাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত