Ajker Patrika

শ্রীপুরে ২ শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা

গভীর জঙ্গলে নিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেপ্তার মো. আরমান মিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
গভীর জঙ্গলে নিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেপ্তার মো. আরমান মিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদক সেবন করে এক শিশুকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক তরুণের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এক শিশুছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের স্বজনেরা আজ রোববার সকালে শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকতার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আর ধর্ষণচেষ্টার শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নুরানি বিভাগে পড়াশোনা করে।

ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত মো. আরমান মিয়া (২৭) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি থাকেন শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের মাঝেরটেকে। ধর্ষণচেষ্টার মামলার আসামি করা হয়েছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার শিবপুর গ্রামের আব্দুল মালেককে (২২)। তিনি মাওনা উত্তরপাড়ায় থেকে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা বলেন, ‘মাদকাসক্ত যুবক আরমান আমার শিশুকন্যাকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েকে দুপুরের পর থেকে খোঁজাখুঁজি করে পাইনি। সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা কান্নার শব্দ পেয়ে গভীর জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে। আমি মামলা করেছি। এখন ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়।’

মাদ্রাসায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষক আব্দুল মালেক। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদ্রাসায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষক আব্দুল মালেক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্ষণচেষ্টার শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় যাচ্ছে না আমার মেয়ে। কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। এরপর শনিবার রাতে স্থানীয়রা ওই শিক্ষককে ধরে গণপিটুনি দেয়।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকতার বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আর শিশু ধর্ষণচেষ্টায় বাবা মামলা করেছেন। দুটি মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। দুটি শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত