Ajker Patrika

তদবির-বাণিজ্য ঠেকাতে রাজউকের ৬৭ ইমারত পরিদর্শক বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬: ২৬
তদবির-বাণিজ্য ঠেকাতে রাজউকের ৬৭ ইমারত পরিদর্শক বদলি

তদবির-বাণিজ্য ঠেকাতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউকের) ৬৭ জন ইমারত পরিদর্শক ও চারজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞার উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে তাঁদের বদলি নির্ধারণ করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৬৭ জন ইমারত নির্মাণ পরিদর্শক গত ৩ থেকে ৯ বছর একই জোনে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ফলে সেবায় ধীরগতি ও অস্বচ্ছতা চলে আসে। আবার তদবির করে বদলি ঠেকানোর চেষ্টাও চলে। তাই নতুন করে পদায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে লটারির মাধ্যমে বদলি করা হয়।

রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ‘আমরা জনগণের চাহিদামতো সেবা দিতে পারছি না। এ জন্য লটারির মাধ্যমে বদলি করা হচ্ছে, যাতে সেবার মান বাড়ে।’

লটারির মাধ্যমে বদলি প্রসঙ্গে আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে বদলি হলে তাঁদের কর্মস্পৃহা বাড়বে। তাঁরা মনে করবে তাঁদের বদলি করিনি। এর ফলে তাঁরা কাজ করতে উৎসাহিত হবে। একই ধরনের কাজ সব জোনে থাকায় তাদের এই পদ্ধতিতে বদলি করা হয়েছে। অনেকের মধ্যে অভিযোগ আছে, তিনি তো অমুক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তদবিরে এসেছেন, তিনি কি কাজ করবেন! সে কারণে আমরা দেখলাম, এভাবে বদলি করা যায়, যেখানে সবাই সমান। এতে করে জনগণের কাছে বার্তা যাবে সে কারও লোক নয়।’

রাজউক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা দেখলেন কোনো ধরনের তদবির লাগেনি এই বদলির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে। লটারির মাধ্যমে বদলি ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকর হবে। বদলির আগে যার কাছে যা ফাইল আছে, তা এন্ট্রিসহ বুঝিয়ে দিতে হবে।’ 

জানা গেছে, রাজউকের ইমারত পরিদর্শকের পদ রয়েছে ২৪০ জন। তবে কর্মরত আছেন ১০৩ জন। এই পদে ১৩৭টি শূন্য রয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে খুলশীতে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতি করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালি, বায়েজিদ ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল মতিন রাসেল (৩৫), আশরাফুল ইসলাম সাহেদ (২৯), মো. মমিন (২৮), শারমিন আক্তার রিমা (৩০), নুর মোহাম্মদ সাব্বির রকি (২২), রুবেল হোসেন (৩১) ও মো. ফয়সাল।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুর সোয়া ১২টায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন খুলশী আবাসিকে একটি চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর ওই বাসায় থাকা তিনজন নারীকে ধারালো ছোরা দিয়ে জিম্মি করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে। তাঁরা বাসার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও ভবনের নিচে পার্কিংয়ে রাখা একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটির ছায়া তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাহেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পতেঙ্গা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে লুট করা প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন মর্জিনা বেগম (২৪) ও তাঁর মেয়ে ময়না (৩)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৃত মর্জিনা বিরই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহীনের স্ত্রী। ছয় মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন মর্জিনা। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য শাহীন আড়াই মাস আগে দেশে ফেরেন। এরপর স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ পান। বেশ কিছু সময় ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পাশের রুমের ওপর দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পাগলা থানা-পুলিশ সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে এসে ঘরে দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান।

প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এই দম্পতির পারিবারিক কোনো সমস্যার কথা শুনি নাই। তবে কয়েক মাস ধরে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তাঁর স্বামী প্রায়ই বলতেন।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরি ঠেকাতে রাতে চাতাল পাহারা, ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।

আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত