জহিরুল আলম পিলু
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এই হাটে এবার সবার নজর কাড়ছে একটি বিশালদেহী গরু—‘বড় মিয়া’। ফরিদপুরের আটরশি থেকে আনা এই গরুটির ওজন প্রায় ২৮ মণ। দাম ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এর মালিক লিটন সিকদার। ইতিমধ্যেই হাটে শুরু হয়েছে বেচাকেনা, তবে বড় মিয়াই যেন হয়ে উঠেছে হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
হাটজুড়ে বড় মিয়ার রাজত্ব
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত এই হাটে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন গরু। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কাউন্টারজুড়ে ভিড় জমেছে খামারিদের। এক নম্বর কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বড় মিয়ার সামনে যেন মেলা বসেছে। গরুটির উচ্চতা ও শারীরিক গঠন দেখে দর্শনার্থীরা বিস্মিত। অনেকেই মোবাইলে ছবি তুলছেন, বিশেষ করে শিশুদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
গরুর মালিক লিটন সিকদার বলেন, ‘গত রোববার আমি বড় মিয়া এবং আরেকটি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। প্রায় চার বছর ধরে এই গরুটিকে যত্ন করে লালন-পালন করেছি। দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। একজন ক্রেতা ৮ লাখ পর্যন্ত বলেছেন, তবে ১২-১৩ লাখ হলে বিক্রি করতে পারি।’
মল্লিক ডেইরি ফার্মের প্রস্তুতি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আগত সায়েম মল্লিক তাঁর ‘মল্লিক ডেইরি ফার্ম’ থেকে এনেছেন ২০টি বড় ও মাঝারি আকৃতির গরু। তিনি বলেন, ‘আমার গরুগুলোর দাম চার থেকে সাত লাখ টাকার মধ্যে। একটি সাড়ে ছয় লাখ টাকার গরুর জন্য একজন চার লাখ প্রস্তাব দিয়েছেন। এখনো বিক্রি হয়নি কিছু, তবে ঈদের আগে আগে মূল ক্রেতারা আসবেন বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গরুগুলোর পরিচর্যা এবং মান দেখে কেউ ঠকবে না।’
ক্রেতাদের নানা অভিজ্ঞতা
গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। এক গরুর দাম বলা হলো সাত লাখ, আমি বলেছি সাড়ে তিন লাখ। দেখি, শেষমেশ কী হয়। বাচ্চাদের আনন্দ আর ঈদের প্রস্তুতির জন্য আগে থেকেই দেখে নিচ্ছি।’
কেরানীগঞ্জ থেকে আসা প্রবাসী মোহাম্মদ শামীম ২ লাখ ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘দাম মোটামুটি সন্তোষজনক। পরে ভিড় বেড়ে গেলে হয়রানি হবে, তাই আগেই কিনে নিলাম।’
হাট ব্যবস্থাপনায় বাড়তি উদ্যোগ
হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ আলী মিলন এবং পরিচালনা কমিটির সদস্য মেরাজুল ইসলাম বাবুল ও বিল্লাল গাজী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে হাটে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, তিন-চারটি ব্যাংকের বুথ, স্বেচ্ছাসেবক দল, পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা, টয়লেট এবং পশু চিকিৎসকের সেবা। এ ছাড়া শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হচ্ছে।’
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের ইউনিফর্মধারী ও সাদাপোশাকের পুলিশ সদস্যরা হাটজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
আশাবাদী হাট কর্তৃপক্ষ
হাট-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখনো বেচাকেনা পুরোপুরি জমে না উঠলেও প্রতিদিন ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ সময়ে জমজমাট কেনাবেচার প্রত্যাশায় রয়েছেন সবাই।
এই হাট যেন শুধু পশুর হাট নয়—এ যেন ঈদের আগের এক উৎসবমুখর মেলা। আর এই মেলার কেন্দ্রে রয়েছে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু—‘বড় মিয়া’।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা এই হাটে এবার সবার নজর কাড়ছে একটি বিশালদেহী গরু—‘বড় মিয়া’। ফরিদপুরের আটরশি থেকে আনা এই গরুটির ওজন প্রায় ২৮ মণ। দাম ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এর মালিক লিটন সিকদার। ইতিমধ্যেই হাটে শুরু হয়েছে বেচাকেনা, তবে বড় মিয়াই যেন হয়ে উঠেছে হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
হাটজুড়ে বড় মিয়ার রাজত্ব
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত এই হাটে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন গরু। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কাউন্টারজুড়ে ভিড় জমেছে খামারিদের। এক নম্বর কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বড় মিয়ার সামনে যেন মেলা বসেছে। গরুটির উচ্চতা ও শারীরিক গঠন দেখে দর্শনার্থীরা বিস্মিত। অনেকেই মোবাইলে ছবি তুলছেন, বিশেষ করে শিশুদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।
গরুর মালিক লিটন সিকদার বলেন, ‘গত রোববার আমি বড় মিয়া এবং আরেকটি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। প্রায় চার বছর ধরে এই গরুটিকে যত্ন করে লালন-পালন করেছি। দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। একজন ক্রেতা ৮ লাখ পর্যন্ত বলেছেন, তবে ১২-১৩ লাখ হলে বিক্রি করতে পারি।’
মল্লিক ডেইরি ফার্মের প্রস্তুতি
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে আগত সায়েম মল্লিক তাঁর ‘মল্লিক ডেইরি ফার্ম’ থেকে এনেছেন ২০টি বড় ও মাঝারি আকৃতির গরু। তিনি বলেন, ‘আমার গরুগুলোর দাম চার থেকে সাত লাখ টাকার মধ্যে। একটি সাড়ে ছয় লাখ টাকার গরুর জন্য একজন চার লাখ প্রস্তাব দিয়েছেন। এখনো বিক্রি হয়নি কিছু, তবে ঈদের আগে আগে মূল ক্রেতারা আসবেন বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গরুগুলোর পরিচর্যা এবং মান দেখে কেউ ঠকবে না।’
ক্রেতাদের নানা অভিজ্ঞতা
গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, ‘এবার দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। এক গরুর দাম বলা হলো সাত লাখ, আমি বলেছি সাড়ে তিন লাখ। দেখি, শেষমেশ কী হয়। বাচ্চাদের আনন্দ আর ঈদের প্রস্তুতির জন্য আগে থেকেই দেখে নিচ্ছি।’
কেরানীগঞ্জ থেকে আসা প্রবাসী মোহাম্মদ শামীম ২ লাখ ৪২ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, ‘দাম মোটামুটি সন্তোষজনক। পরে ভিড় বেড়ে গেলে হয়রানি হবে, তাই আগেই কিনে নিলাম।’
হাট ব্যবস্থাপনায় বাড়তি উদ্যোগ
হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ আলী মিলন এবং পরিচালনা কমিটির সদস্য মেরাজুল ইসলাম বাবুল ও বিল্লাল গাজী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে হাটে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, তিন-চারটি ব্যাংকের বুথ, স্বেচ্ছাসেবক দল, পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা, টয়লেট এবং পশু চিকিৎসকের সেবা। এ ছাড়া শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল নেওয়া হচ্ছে।’
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের ইউনিফর্মধারী ও সাদাপোশাকের পুলিশ সদস্যরা হাটজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
আশাবাদী হাট কর্তৃপক্ষ
হাট-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখনো বেচাকেনা পুরোপুরি জমে না উঠলেও প্রতিদিন ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ সময়ে জমজমাট কেনাবেচার প্রত্যাশায় রয়েছেন সবাই।
এই হাট যেন শুধু পশুর হাট নয়—এ যেন ঈদের আগের এক উৎসবমুখর মেলা। আর এই মেলার কেন্দ্রে রয়েছে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু—‘বড় মিয়া’।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। পশুর হাট ও যানবাহনের কারণে সড়কে যানজট ও ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে। শিগগিরই ঢাকা প্রায় ফাঁকা হতে চলেছে। তবে এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১০ মিনিট আগেরাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে লুটপাট, দখলদারির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল, সেই পথে আপনারা যদি কেউ হাঁটেন, সে পথ কিন্তু অন্ধকার পথ। সে পথে হারিয়ে যাবেন, যেমন হারিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ক্ষমতার লোভে এমন কোনো অকাজ ছিল না যে তাঁরা করতেন
২৬ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অনেক রোগী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে ঈদের সময় কেবল খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীরাই হাসপাতালে আসছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
৩১ মিনিট আগেলালমনিরহাটের কালীগঞ্জে এক তরুণীর বিরুদ্ধে তার দুলাভাইকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম দুলু মিয়া (৩৫)। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
৩৫ মিনিট আগে