গোসাইরহাট (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছিলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মো. আলী আহম্মদ আকন। নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডারও। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সরকারি বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাবদ আদায় করেছেন কয়েক কোটি টাকা। শুধু তা-ই নয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় তিন মেয়ের চাকরিও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) তদন্তে।
স্থানীয় ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, গোসাইরহাটের চর ধীপুর এলাকার ওহাব আলী আকনের পুত্র মো. আলী আহম্মদ আকন দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং সরকারি চাকরিতে সন্তান-পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত কোটার সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন না তুললেও সম্প্রতি গোসাইরহাটের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে জামুকা। একাধিকবার বিভিন্ন তদন্ত দলের তদন্তে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেওয়ায় তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। সারা দেশের ৮১ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে বাতিল করা গত ২৪ মার্চ প্রকাশিত গেজেটের তালিকায় ৪৭ নম্বরে রয়েছে মো. আলী আহম্মদ আকনের নাম।
সূত্র আরও জানায়, ১৯৯৭ সাল থেকে আলী আহম্মদ আকন সরকারের কয়েক কোটি টাকা ও সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা (যুদ্ধাহত গেজেট নম্বর-১৩৭০) হিসেবে প্রতি মাসে তিনি ভাতা তুলতেন ৩১ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি উপভোগ করতেন। প্রতি মাসে ৪ ইউনিট সরকারি রেশনের মালামাল পেতেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩০ কেজি চাল, ৮ লিটার সয়াবিন তেল, ৮ কেজি চিনি, আটা ইত্যাদি। এ ছাড়া তৎকালীন ৯ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি বাড়ি নিয়েছেন তিনি, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ টাকায়। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুবিধার আওতায় তাঁর তিন মেয়ে পেয়েছেন সরকারি চাকরি। যদিও পরে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগপত্র তৈরির মাধ্যমে কয়েকজনের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাঁর মেয়ে হালিমা খাতুনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অপর দুই মেয়ের একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছেন।
ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের জন্য তিন বছর জেল এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোসাইরহাট উপজেলা শাখার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন বাচ্চু ছৈয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে মো. আলী আহম্মদ আকন সরকার তথা জনগণের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার কথা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন জানান, গোসাইরহাটে এ রকম আরও বেশ কয়েকজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছিলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার মো. আলী আহম্মদ আকন। নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা কমান্ডারও। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সরকারি বেতন-ভাতা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাবদ আদায় করেছেন কয়েক কোটি টাকা। শুধু তা-ই নয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় তিন মেয়ের চাকরিও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) তদন্তে।
স্থানীয় ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, গোসাইরহাটের চর ধীপুর এলাকার ওহাব আলী আকনের পুত্র মো. আলী আহম্মদ আকন দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং সরকারি চাকরিতে সন্তান-পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত কোটার সুবিধাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন না তুললেও সম্প্রতি গোসাইরহাটের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নামে জামুকা। একাধিকবার বিভিন্ন তদন্ত দলের তদন্তে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেওয়ায় তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। সারা দেশের ৮১ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে বাতিল করা গত ২৪ মার্চ প্রকাশিত গেজেটের তালিকায় ৪৭ নম্বরে রয়েছে মো. আলী আহম্মদ আকনের নাম।
সূত্র আরও জানায়, ১৯৯৭ সাল থেকে আলী আহম্মদ আকন সরকারের কয়েক কোটি টাকা ও সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা (যুদ্ধাহত গেজেট নম্বর-১৩৭০) হিসেবে প্রতি মাসে তিনি ভাতা তুলতেন ৩১ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ফ্রি উপভোগ করতেন। প্রতি মাসে ৪ ইউনিট সরকারি রেশনের মালামাল পেতেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩০ কেজি চাল, ৮ লিটার সয়াবিন তেল, ৮ কেজি চিনি, আটা ইত্যাদি। এ ছাড়া তৎকালীন ৯ লাখ টাকা মূল্যের সরকারি বাড়ি নিয়েছেন তিনি, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে ১৪ লাখ টাকায়। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-পোষ্যদের জন্য নির্ধারিত কোটা সুবিধার আওতায় তাঁর তিন মেয়ে পেয়েছেন সরকারি চাকরি। যদিও পরে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়োগপত্র তৈরির মাধ্যমে কয়েকজনের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাঁর মেয়ে হালিমা খাতুনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অপর দুই মেয়ের একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছেন।
ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী, মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের জন্য তিন বছর জেল এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোসাইরহাট উপজেলা শাখার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন বাচ্চু ছৈয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে মো. আলী আহম্মদ আকন সরকার তথা জনগণের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার কথা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন জানান, গোসাইরহাটে এ রকম আরও বেশ কয়েকজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। যারা বিভিন্নভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এক ভাই এক বোনের মধ্যে পারভেজ ছিল বড়। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল পারভেজ। পারভেজ কাফরুলে কাজিপাড়া আলহেরা হাসপাতালের পাশে একটি মেসে থাকত। ছোট বোন ঢাকার মাইলস্টোনে পড়াশোনা করে। বাবা জসিম উদ্দিন কুয়েত প্রবাসী। মা পারভীন আক্তার গৃহিণী। তাদের গ্রামে
১২ মিনিট আগেখ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে আজ রোববার। দিনটি খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্টের পুনরুত্থান দিবস হিসেবে পালন করেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। তাঁদের মতে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সংবেদনশীল এবং আনন্দের।
১৫ মিনিট আগেচাঁদপুর সদর উপজেলায় বহরিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন অগ্নিকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২১ মিনিট আগেরাজশাহীর চারঘাটে চোলাই মদপানে দুজনের মৃত্যুর পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় ১ হাজার ৪২০ লিটার চোলাই মদসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২২ মিনিট আগে