Ajker Patrika

মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মেঘনা আলম। ছবি: ফেসবুক
২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ হন মেঘনা আলম। ছবি: ফেসবুক

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মেঘনার আলমের জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, মেঘনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তাঁকে হেয় করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন নারী বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকার ধানমন্ডি থানায় করা এ মামলায় মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির এখনো ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন।

মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু-তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন, এই অভিযোগে ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি করেন।​

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যাঁরা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।​

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তাঁরা।​

উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।​ ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।​ ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।​

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত