Ajker Patrika

নাশকতার মামলায় মির্জা আব্বাস, রিজভীসহ ১৬৭ নেতা-কর্মীর অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১০
মির্জা আব্বাস ও রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা আব্বাস ও রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

নাশকতার আরও এক মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ তাঁদের অব্যাহতি দেন।

আরও যাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া উইংয়ের সমন্বয়কারী শামসুদ্দিন দিদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মনজু ও ঢাকা দক্ষিণের ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন।

রাজধানীর পল্টন থানায় করা নাশকতার এ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত সবাইকে অব্যাহতি দেন। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি আজিজুল হক দিদার বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শোডাউন করে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুটি মিছিল শোডাউন করে একই দিক থেকে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজারজনের একটি মিছিল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। তাঁরা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেন। পুলিশ তাঁদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়াপল্টনে ভিআইপি রোডে হকস বে নামের গাড়ির শোরুমের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারি ডাবল কেবিন পিকআপ পুড়িয়ে আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতে পুলিশকে আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

আসামিরা রাস্তার পাশে কর্তব্যরত পুলিশের সহকারী কমিশনারের (প্যাট্রল-মতিঝিল) সরকারি মিতসুবিশি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে পোড়া গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আসামিরা ইট নিক্ষেপ করলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আসামিরা নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁরা রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগণের ওপর আক্রমণ করে প্রাইভেট কারসহ রাস্তায় আটকে পড়া আরও অনেক গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকেন।

পল্টন থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত