Ajker Patrika

রাসায়নিকে অসহায় ফায়ার সার্ভিস

  • দুর্ঘটনাস্থলের প্রকৃত তথ্য দেন না রাসায়নিক গুদামমালিকেরা।
  • রয়েছে উন্নত যন্ত্রপাতি ও ফায়ার ফাইটারদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি।
  • ৫ বছরে ৩টি রাসায়নিকের দুর্ঘটনায় ১৬ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী প্রাণ হারান।
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ১৬
রাসায়নিকে অসহায় ফায়ার সার্ভিস

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, অগ্নিদুর্ঘটনাস্থলে কোন ধরনের রাসায়নিক আছে, তার প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে অনেক সময় বিপদে পড়েন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁদের কাছে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, প্রশিক্ষণের ঘাটতিও রয়েছে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। সেখানে আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের চারজন ফায়ার ফাইটার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁদের তিনজন। এ ঘটনাটি আবারও রাসায়নিক অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সীমাবদ্ধতাকে সামনে নিয়ে আসে।

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কসমিক ফার্মা নামের একটি রাসায়নিকের গুদাম এবং পাশের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন আরও অনেকে। এ ক্ষেত্রেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে দুটি বড় রাসায়নিক দুর্ঘটনায় তাদের ১৬ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২২ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোট ৫১ জন নিহত হন, যার মধ্যে ১৩ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আর চলতি বছরে গাজীপুরে নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ জন কর্মী।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে রাসায়নিক গুদাম বা কেমিক্যালের আগুন নির্বাপণের জন্য আলাদা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। ফলে কোন ধরনের রাসায়নিকের আগুন কীভাবে নির্বাপণ করতে হবে, সেই প্রশিক্ষণ অনেকের নেই। এর মধ্যেও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের যথাযথ সরঞ্জাম ও সুরক্ষা দিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ফায়ার অ্যাক্ট, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণে দ্রুত সংস্কার না আনলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য রয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে দেশের ৫৩৭টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রতিটিতে ২২ জন করে কর্মী রয়েছেন। এসব কর্মীর মধ্যে ৮৮ জন ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশে রাসায়নিকের আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থার (ওপিসিডব্লিউ) অধীনে আরও ২৭ জন এই প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাধ্যমে দেশে আরও ৪৩২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৫৪৭ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।

রাসায়নিকের আগুন নেভাতে প্রয়োজন উন্নত যন্ত্রপাতি। কিন্তু দেশের ফায়ার সার্ভিসে এ ধরনের যন্ত্রপাতি পর্যাপ্ত নয়। এ অবস্থায় রাসায়নিকের আগুন নেভাতে কখনো কখনো ব্যবহার করা হচ্ছে পানি। ফলে রাসায়নিকের আগুন বা অন্যান্য জটিল অগ্নিকাণ্ডের আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাঁদের নিজেদের জীবনও ঝুঁকিতে পড়ছে এতে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অভিযোগ, কোথায় আগুন লেগেছে অনেক সময় তার সঠিক তথ্য তাঁদের দেওয়া হয় না। অগ্নিনির্বাপণের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও আধুনিক নয়, মানহীন পিপিই ব্যবহার করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের জন্য যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা বাড়েনি।

জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাসায়নিকের আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটাররা ব্যর্থ হচ্ছেন না। তবে তথ্য পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ঘটনাস্থলে কী রয়েছে সে সম্পর্কে মালিকেরা যথাযথ তথ্য না দিয়ে বরং মিথ্যা তথ্য দেন। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তথ্যবিভ্রাটে পড়েন। তবু দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার করতে হয়, তখন তাঁরা ঝুঁকিতে পড়ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত জামায়াত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদ (৩৫) নামের এক জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পলাশবাড়ী পৌরসভার গোয়ালপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত জামায়াত নেতা পৌরসভার বাড়াইপাড়ার বাসিন্দা। তিনি পলাশবাড়ী পৌর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বায়তুলমাল সম্পাদক।

অভিযুক্ত হাসান মিয়া একই পৌরসভার গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রশান্ত কুমার আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আপেল মাহমুদ শুক্রবার রাতে পলাশবাড়ী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গোয়ালপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ হাসান মিয়া চায়নিজ কুড়াল হাতে নিয়ে আপেল মাহমুদের ওপর হামলা করেন। চায়নিজ কুড়াল দিয়ে আপেল মাহমুদের বাঁ হাতে আঘাত করেন। এ সময় আপেল মাহমুদ চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হাসান মিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আপেল মাহমুদকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ওসি প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খোঁজখবর রাখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে: ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে খায়রুল হাসান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে ‘ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, দেশ-জাতির সংকটকালে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিছক কোনো পূজা-পার্বণের সমষ্টি নয়; এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইতিহাসে যখনই ইসলামি অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। বর্তমান অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে ইসলামের আদর্শে সবাইকে এক হতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা যাকারিয়া হোসাইন বিন কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আলেমরা নবীদের উত্তরসূরি। দুঃসময়ে জাতিকে দিশা দিতে আলেমদেরই সামনে আসতে হবে। বিভেদ ভুলে ঐক্যের ভিত্তিতে দ্বীনের খেদমত করতে হবে।’

বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা শিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির আফতাবউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সেফাউল হক, ড. মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা ফেরদৌস খান সালেহী এবং মাওলানা এস এম আব্দুল হান্নান বেলালী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কালীগঞ্জের সভাপতি খুরশীদ আলম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন গাজীপুরি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সভাপতি আবু হানিফসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে কালীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ ডিজির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাবিষয়ক চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। সেমিনারে অংশগ্রহণের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তাঁর বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল-সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিজি ও তাঁর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত