Ajker Patrika

ঢাবি শিক্ষিকা হত্যা: গ্রেপ্তার রাজমিস্ত্রির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ৩৮
ঢাবি শিক্ষিকা হত্যা: গ্রেপ্তার রাজমিস্ত্রির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাক্তন অধ্যাপক সাইদা খালেককে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আসামি মো. আনোয়ারুল ইসলামের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি পাভেল সুইট শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

গ্রেপ্তার আনোয়ারুল ইসলাম (২৫) গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর থানার বুর্জুগ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। 

জিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে জিএমপির কাশিমপুর থানা-পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ মো. আনোয়ারুল ইসলামকে আদালতে পাঠায়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

নিহত সাইদা খালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। মোছা. সাইদা গাফফার নামে তিনি সমধিক পরিচিত। ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর স্বামী প্রয়াত কিবরিয়া উল খালেক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা জানান, অধ্যাপক সাইদা খালেক মহানগরীর কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকার মোশারফ মৃধার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি সেখানে থেকে নিজের নির্মাণাধীন প্রজেক্টের কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন। তাঁকে ১২ জানুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে নিখোঁজের ঘটনায় সাইদা খালেকের মেয়ে সাদিয়া বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

মাহবুবে খোদা আরও জানান, নিখোঁজের জিডি করার পর সাইদা খালেকের সন্ধানে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে মো. আনোয়ারুল ইসলামকে (২৫) গতকাল শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সাইদা খালেকের প্রকল্পে রাজমিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন এবং জানান গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পানিশাইল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্পের ভেতর একটি ঝোপের মধ্যে সাইদা বেগমের মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সেই স্থান থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। 

হত্যার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে গ্রেপ্তার আনোয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কেন কী উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে, আরও কেউ জড়িত আছে কি না, এসব জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাইদা খালেককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

সকালে পরীক্ষা, রাতেই ফল: সেই নিয়োগের তদন্তে কমিটি

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

পাকিস্তানিওঁ কি কাতিল—যুক্তরাষ্ট্রে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের উদ্দেশে স্লোগান

আমাদের হয়ে ‘নোংরা কাজটা’ করে দিচ্ছে ইসরায়েল: জার্মান চ্যান্সেলর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত