কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশু সন্তান রাইসুল ইসলামের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে আজ সোমবার সকালে। এর আগে সকালে পুলিশ সদস্য সোহেল রানা ও বেলন দে নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহই উদ্ধার করা হলো। এতে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়ে।
ভৈরব নৌ পুলিশের ইউনিট ইনচার্জ কেএম মনিরুজ্জামান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ভৈরবের মেঘনা নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের প্রধান ওবায়দুল করিম বলেন, আজ সোমবার সকালে মেঘনা নদীর ভৈরব মাছের আড়ত এলাকা থেকে কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দে নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরে শনিবার উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌসুমী বেগম (২৫) ও আরাধ্য (১২) নামে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে সুবর্ণা আক্তার ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে, মৌসুমী বেগম নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী এবং আরাধ্য ভৈরবের আমলাপাড়ার টোটন দের মেয়ে।
এদিকে রোববার তিনটার দিকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় উদ্ধার করা হয় ভৈরব আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দে স্ত্রী রুপা দে (৩৬), নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে কলেজছাত্রী আনিকা আক্তার (১৮) ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে ইভা বেগমের (৭) মরদেহ। এদিকে আজ যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেলন দে ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের ভগ্নিপতি।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিন মিস্ত্রিকে আসামি করে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল মো. সোহেল রানার বাবা মো. আব্দুল আলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলার এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
নৌ-পুলিশ কিশোরগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাটি ঘটনাস্থলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে নৌ পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাল্কহেডটি শনাক্তকরণে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মেঘনা নদীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে একটি ট্রলারকে অজ্ঞাত একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে কনস্টেবল সোহেল রানার পরিবারের পাঁচজন, ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের পরিবারের সাতজন এবং কলেজপড়ুয়া দুই বান্ধবী সুবর্ণা ও আনিকাসহ মোট ২১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর পর মোট ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর আজ তিনজনসহ মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, ভৈরবে কনস্টেবল সোহেল রানার বাসায় বেড়াতে এসে ভাগনি মারিয়া বেগম (১৬) আবদার করেছিল মেঘনা নদী ভ্রমণের। ভাগনির আবদার রক্ষা করতে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে সোহেল রানা তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাগনিকে নিয়ে নদী ভ্রমণে যান। ট্রলারডুবির পর ভাগনি মারিয়া প্রাণে রক্ষা পেলেও সোহেল রানাসহ তার পুরো পরিবার নিখোঁজ হন। সোহেল রানার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে।
এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশু সন্তান রাইসুল ইসলামের (৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে আজ সোমবার সকালে। এর আগে সকালে পুলিশ সদস্য সোহেল রানা ও বেলন দে নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ সবার মরদেহই উদ্ধার করা হলো। এতে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়ে।
ভৈরব নৌ পুলিশের ইউনিট ইনচার্জ কেএম মনিরুজ্জামান চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ভৈরবের মেঘনা নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের প্রধান ওবায়দুল করিম বলেন, আজ সোমবার সকালে মেঘনা নদীর ভৈরব মাছের আড়ত এলাকা থেকে কনস্টেবল সোহেল রানা ও বেলন দে নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরে শনিবার উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌসুমী বেগম (২৫) ও আরাধ্য (১২) নামে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে সুবর্ণা আক্তার ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে, মৌসুমী বেগম নিখোঁজ কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী এবং আরাধ্য ভৈরবের আমলাপাড়ার টোটন দের মেয়ে।
এদিকে রোববার তিনটার দিকে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় উদ্ধার করা হয় ভৈরব আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দে স্ত্রী রুপা দে (৩৬), নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে কলেজছাত্রী আনিকা আক্তার (১৮) ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে ইভা বেগমের (৭) মরদেহ। এদিকে আজ যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেলন দে ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের ভগ্নিপতি।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে ট্রলারটিকে ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিন মিস্ত্রিকে আসামি করে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল মো. সোহেল রানার বাবা মো. আব্দুল আলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। তবে মামলার এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
নৌ-পুলিশ কিশোরগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলাটি ঘটনাস্থলের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে নৌ পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তার ও বাল্কহেডটি শনাক্তকরণে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মেঘনা নদীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে একটি ট্রলারকে অজ্ঞাত একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে কনস্টেবল সোহেল রানার পরিবারের পাঁচজন, ভৈরবের আমলাপাড়ার ফল ব্যবসায়ী ঝন্টু দের পরিবারের সাতজন এবং কলেজপড়ুয়া দুই বান্ধবী সুবর্ণা ও আনিকাসহ মোট ২১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর পর মোট ১২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর আজ তিনজনসহ মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, ভৈরবে কনস্টেবল সোহেল রানার বাসায় বেড়াতে এসে ভাগনি মারিয়া বেগম (১৬) আবদার করেছিল মেঘনা নদী ভ্রমণের। ভাগনির আবদার রক্ষা করতে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে সোহেল রানা তার স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাগনিকে নিয়ে নদী ভ্রমণে যান। ট্রলারডুবির পর ভাগনি মারিয়া প্রাণে রক্ষা পেলেও সোহেল রানাসহ তার পুরো পরিবার নিখোঁজ হন। সোহেল রানার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে।
এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের জন্য টাঙ্গাইলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ মিনিট আগেঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত শিশু তাসমিন আফরোজ আয়মানের (১০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) এশার নামাজের পরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা মাজেদ হাওলাদারের কবরের পাশে...
১৫ মিনিট আগেআপনার-আমার দায়িত্ব হচ্ছে সেই বাংলাদেশের জন্য কাজ করা। বিচার, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছি—জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আদায়ের লক্ষ্যে। ইনশা আল্লাহ, আমরা শহীদ মিনার থেকে আদায় করে নেব।
২৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মিছিল করে টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে ১২ যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালা মিয়ার দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩২ মিনিট আগে