আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
কেউ কাটা ভর্তি খেজুর গাছের মাথায় বসে আছে, কেউ ঘরের চালে হাঁটছে, কেউবা পাশের উঁচু গাছের মগডালে হাত ছেড়ে দিয়ে পা দিয়ে ঝুলে আছে। উৎসুক দর্শকদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আটকে আছে এসব দৃশ্যে। অদ্ভুত ও ভয়ংকর এই কর্মকাণ্ড দেখে চারপাশ থেকে বেজে উঠছে দর্শকদের করতালি। ‘হই হই. . হুররে...’ আওয়াজ।
মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নয়াচর তীর্থঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেখা যায় এ চিত্র। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ভয়ংকর এ খেলা স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘বান খেলা’ নামে পরিচিত। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ খেলা আজ মঙ্গলবার শেষ হয়। এই খেলায় আশপাশের কয়েক ইউনিয়নের মানুষজন বছরের এই সময়ে বান খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন।
বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের রমিজ উদ্দিন মাতব্বর, শেরে আলী, মুনসুর উদ্দিন, সূর্য বিশ্বাস, ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, আলামিন মোল্লা সাকিব, বাপ্পি, রব, রবিনসহ স্থানীয় প্রবীণ ও তরুণেরা এ খেলার আয়োজন করেন।
মাঠে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের পাশের কয়েকটি উঁচু কাটা ভর্তি খেজুর গাছে হুর মুড়িয়ে উঠছেন কয়েকজন। একেবারে গাছের মগডালে গিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে পরলেন। কিন্তু কোনো আঘাত কিংবা কাঁটা বিধার চিহ্ন তাদের শরীরে দেখা গেল না। পাশের বাড়ির টিনের চালে কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া দৌড়াদৌড়ি করছে জন চারেক যুবক। স্কুলের পেছনের বড় আম, কড়ই গাছের মগডালে হাত শূন্যে ছেড়ে প্রলাপ করছেন দুই প্রবীণ ও এক যুবক। মাঠের এক কোণের তিনজন গণক হাতের ইশারায় আকাশপানে কী যেন জপছেন!
আয়োজকেরা জানান, মূলত এদের মন্ত্রের টানেই বান খেলায় অংশ নেয় মানুষজন এমন অদ্ভুত কাণ্ড করছেন। দীর্ঘ সময় পর অনেকটা বেহুঁশ অবস্থায় আয়োজকেরা তাঁদের গাছ থেকে নামিয়ে আনেন। দর্শকদের হই হুল্লোড়, আনন্দ-উত্তেজনায় সরগরম মাঠ।
খেলায় তন্ত্রমন্ত্রের গণক হিসেবে ছিলেন, প্রবীণ রমেজ মাতব্বর ও শেরে আলীসহ কয়েকজন। অপরদিকে বান খেলায় আশিক বিশ্বাস, ছালাম বিশ্বাস, সুরুজ মিয়া, আশিক মিয়া, জীবন, আজিজুর, জসিম, আলম, রবিনসহ আরও বেশ কয়েকজন তরুণ ও মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি অংশ নেন।
মাঠের চারপাশে বসেছে ফুচকা, চটপটি, জিলাপি, চিংড়ি চপ, পেঁয়াজু, বাদাম, চা আর মুখরোচক ঝালমুড়ির দোকান। এ ছাড়া ছোটদের আকৃষ্ট করতে বসেছে রকমারি খেলনার পসরা।
ঘিওর থেকে খেলা দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে এমন ভয়ংকর খেলা আমি আগে কখনো দেখিনি। খুব উত্তেজনা আর আনন্দ নিয়ে খেলা উপভোগ করেছি।’
খেলার আয়োজকদের এক সদস্য রমেজ আলী মাতব্বর বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে গাসসি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এবং এলাকার মানুষদের বিনোদন দিতেই এ খেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের কয়েক পূর্ব পুরুষরাও এ খেলার আয়োজন করতেন। বান খেলা আশপাশের হাজার হাজার মানুষ আনন্দসহকারে উপভোগ করেন। ভবিষ্যতেও এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গাসসী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এই খেলা শত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে।
কেউ কাটা ভর্তি খেজুর গাছের মাথায় বসে আছে, কেউ ঘরের চালে হাঁটছে, কেউবা পাশের উঁচু গাছের মগডালে হাত ছেড়ে দিয়ে পা দিয়ে ঝুলে আছে। উৎসুক দর্শকদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আটকে আছে এসব দৃশ্যে। অদ্ভুত ও ভয়ংকর এই কর্মকাণ্ড দেখে চারপাশ থেকে বেজে উঠছে দর্শকদের করতালি। ‘হই হই. . হুররে...’ আওয়াজ।
মানিকগঞ্জ ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নয়াচর তীর্থঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেখা যায় এ চিত্র। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী ভয়ংকর এ খেলা স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘বান খেলা’ নামে পরিচিত। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ খেলা আজ মঙ্গলবার শেষ হয়। এই খেলায় আশপাশের কয়েক ইউনিয়নের মানুষজন বছরের এই সময়ে বান খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকেন।
বানিয়াজুরী ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামের রমিজ উদ্দিন মাতব্বর, শেরে আলী, মুনসুর উদ্দিন, সূর্য বিশ্বাস, ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন, আলামিন মোল্লা সাকিব, বাপ্পি, রব, রবিনসহ স্থানীয় প্রবীণ ও তরুণেরা এ খেলার আয়োজন করেন।
মাঠে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের পাশের কয়েকটি উঁচু কাটা ভর্তি খেজুর গাছে হুর মুড়িয়ে উঠছেন কয়েকজন। একেবারে গাছের মগডালে গিয়ে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে পরলেন। কিন্তু কোনো আঘাত কিংবা কাঁটা বিধার চিহ্ন তাদের শরীরে দেখা গেল না। পাশের বাড়ির টিনের চালে কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়া দৌড়াদৌড়ি করছে জন চারেক যুবক। স্কুলের পেছনের বড় আম, কড়ই গাছের মগডালে হাত শূন্যে ছেড়ে প্রলাপ করছেন দুই প্রবীণ ও এক যুবক। মাঠের এক কোণের তিনজন গণক হাতের ইশারায় আকাশপানে কী যেন জপছেন!
আয়োজকেরা জানান, মূলত এদের মন্ত্রের টানেই বান খেলায় অংশ নেয় মানুষজন এমন অদ্ভুত কাণ্ড করছেন। দীর্ঘ সময় পর অনেকটা বেহুঁশ অবস্থায় আয়োজকেরা তাঁদের গাছ থেকে নামিয়ে আনেন। দর্শকদের হই হুল্লোড়, আনন্দ-উত্তেজনায় সরগরম মাঠ।
খেলায় তন্ত্রমন্ত্রের গণক হিসেবে ছিলেন, প্রবীণ রমেজ মাতব্বর ও শেরে আলীসহ কয়েকজন। অপরদিকে বান খেলায় আশিক বিশ্বাস, ছালাম বিশ্বাস, সুরুজ মিয়া, আশিক মিয়া, জীবন, আজিজুর, জসিম, আলম, রবিনসহ আরও বেশ কয়েকজন তরুণ ও মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি অংশ নেন।
মাঠের চারপাশে বসেছে ফুচকা, চটপটি, জিলাপি, চিংড়ি চপ, পেঁয়াজু, বাদাম, চা আর মুখরোচক ঝালমুড়ির দোকান। এ ছাড়া ছোটদের আকৃষ্ট করতে বসেছে রকমারি খেলনার পসরা।
ঘিওর থেকে খেলা দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবন বাজি রেখে এমন ভয়ংকর খেলা আমি আগে কখনো দেখিনি। খুব উত্তেজনা আর আনন্দ নিয়ে খেলা উপভোগ করেছি।’
খেলার আয়োজকদের এক সদস্য রমেজ আলী মাতব্বর বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে গাসসি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এবং এলাকার মানুষদের বিনোদন দিতেই এ খেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের কয়েক পূর্ব পুরুষরাও এ খেলার আয়োজন করতেন। বান খেলা আশপাশের হাজার হাজার মানুষ আনন্দসহকারে উপভোগ করেন। ভবিষ্যতেও এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় ৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গাসসী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এই খেলা শত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে।
সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ দেওয়া ১০০ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন।
৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর সন্ধানে আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) একটি ‘গোপন আস্তানায়’ অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার ভোরে এই অভিযান চালানো হয়।
১২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন একটি আবাসন কোম্পানির ছয়তলার বহুতল ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আজ সোমবার সকালে নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে এস এস খালেদ রোডসংলগ্ন নির্মাণাধীন ভবনটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
১৪ মিনিট আগেরংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও ফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কুশপুত্তলিকায় জুতাপেটা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের
২০ মিনিট আগে