Ajker Patrika

ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনের ‘অনিয়মের’ বিরুদ্ধে ফের অবস্থান কর্মসূচি হাসনাতের

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৩০
ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনের ‘অনিয়মের’ বিরুদ্ধে ফের অবস্থান কর্মসূচি হাসনাতের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড, কর্মকর্তাদের অশালীন আচরণ বন্ধ ও প্রশাসনিক ভবনকে আধুনিকায়ন করাসহ গত ৩০ অক্টোবর ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ। অবস্থান কর্মসূচির সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে ১০ দিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

১০ দিন শেষ হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে রেজিস্ট্রার ভবনের (প্রশাসনিক ভবন) সামনে এই কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন হাসনাত ৷

হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, সকাল ৯টায় অফিস টাইম থাকলেও ৯টা ৪০ মিনিটে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। সেই ছবি তুলতে গেলে আমাকে বাধা দেওয়া হয়। তারা জানায়, রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ছবি তোলার আগে নাকি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলতে হবে!

কর্মসূচি পালনকালে রেজিস্ট্রার ভবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের একটি জরিপ তুলে ধরেন হাসনাত। জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৮৯.২ শতাংশ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রার ভবনের সেবার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ ও অপ্রত্যাশিত; ৬৮.৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতামত হলো প্রশাসনিক ভবনে ঘুষ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির চর্চা হয়; সর্বোচ্চসংখ্যক হয়রানি হয় ভর্তি শাখায়, বৃত্তি শাখায়, মার্কশিট শাখায় ও ট্রান্স ক্রিপ্ট শাখায় (ক্রমানুযায়ী) ; ৪০০-এর অধিক শিক্ষার্থীর শুনতে হয়েছে, ‘লাঞ্চের পরে আসুন’, ‘এটা এই রুমের কাজ না’, ‘কাগজ এখনো হল থেকে আসেনি’; মোট ৮৬.১ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে রেজিস্ট্রার ভবনের বর্তমান কাজ ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত, বিপরীত বা শূন্য; ৪০০-এর বেশি শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সেবাদাতাদের কাছে সেবাগ্রহীতারা নিরুপায় এবং সেবাগ্রহীতাদের সময়ের কোনো মূল্য নেই; প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর মতে প্রশাসনিক ভবনের সেবার মান অপরিবর্তিত থাকার কারণ কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, স্বচ্ছতার অভাব এবং ৭২.২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে সেবার মান উন্নয়নের জন্য প্রত্যক্ষ আন্দোলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের গেটের সামনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে সনাতন পদ্ধতিতে ছাত্র হয়রানি বন্ধ হোক’, ‘লাঞ্চের পরে আসুন-সুলভ আচরণ বন্ধ করুন, পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন’, ও ‘আমরা গোলাম নই! আমরা ছাত্র আপনাদের ঝাড়ি শুনতে আসিনি, সেবা নিতে এসেছি’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন হাসনাত ৷

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন

কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকের খবর, ‘গুজব’ বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জুলাই ঘোষণাপত্র: গণ-অভ্যুত্থানের দলিলে যা যা রয়েছে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের শুল্ক অনেক বাড়িয়ে দেব: ট্রাম্পের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন ভিসা পেতে লাগতে পারে ১১ লাখ টাকার জামানত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত