Ajker Patrika

পানিতে ঝাঁপ দিয়ে দুই জনকে উদ্ধার করা পর্যটকের নামে সেতু চায় এলাকাবাসী

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৩, ২৩: ১৪
পানিতে ঝাঁপ দিয়ে দুই জনকে উদ্ধার করা পর্যটকের  নামে সেতু চায় এলাকাবাসী

হাজারো মানুষের ভালোবাসা ও সম্মানে নিজ গ্রাম আদমপুরে চিরশায়িত হলেন ‘হাওর বীর’ খ্যাত সাবিকুল ইসলাম (২৫)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বইছে প্রশংসার ঝড়। অন্যের জীবন বাঁচাতে প্রাণ দেওয়া এই বীরের নামে একটি সেতুর নামকরণের দাবি সাধারণ মানুষের। 

গত সোমবার দুপুরে সাবিকুলসহ তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে করে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক দেখতে আসেন। এ সময় অষ্টগ্রাম হাওরে ভাতশালা এলাকায় শিশুসহ ৭ জন নারী-পুরুষ নিয়ে একটি ডিঙি নৌকা ডুবতে দেখে যাত্রীদের বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। দুই যাত্রীকে বাঁচিয়ে নিজেই স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে মারা যান পর্যটক সাবিকুল। 

এই ঘটনায় শিশুসহ সব যাত্রী বেঁচে যান। ছয় ঘণ্টা পর ফয়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করে। আজ সকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা দুর্ঘটনাস্থলের সেতুটি ‘হাওর বীর সাবিকুল সেতু’ নামকরণের দাবি করেন। 

গত সোমবার রাত ১১টায় সাবিকুলের মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে তাঁকে দেখতে ভিড় করে হাজারো মানুষ। কান্নার রোল পড়ে স্বজনদের। 

প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অতি সরল মানসিকতার ছেলে ছিল সাবিকুল। সব সময় মানুষের বিপদে এগিয়ে যেত। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে নিজের প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে প্রমাণ করল সে কতটা বড় মনের মানুষ ছিল। আমরা তাঁর নামে সেতুটির নামকরণ চাই।’ 

সাবিকুলের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই হারানোর যন্ত্রণা ভুলতে পারব না। তার ছোট্ট শিশু সন্তানের জন্য আরও বেশি দুঃখ হচ্ছে। মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন দিল। দুঃখের সঙ্গে গর্বও হচ্ছে ছোট ভাইয়ের জন্য। সাবিকুলের নামে সেতুটির নামকরণ হলে তার স্মৃতি থাকবে।’ 

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগিরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ৬ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সাবিকুল সবার ছোট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত