Ajker Patrika

দুই লাখ খামারী পাবেন ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুই লাখ খামারী পাবেন ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দুই লাখ খামারীকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের দুটি প্রকল্প থেকে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের এর আগে ৫৫৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরও দুই লাখ খামারিকে ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেব। এটা লোন না, এই টাকা ফেরত দিতে হবে না। তাঁরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, উদ্যোক্তা হতে পারেন এজন্য এই সহায়তা দিচ্ছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গত ৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ভ্রামমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করেছে বলে জানান মন্ত্রী রেজাউল।

‘প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসীর মাংস ৭০০ টাকা, সোনালী মুরগির মাংস ২১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০ টাকা এবং প্রতিটি ডিম ছয় টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের সরররাহ যাতে ঠিক থাকে সে বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল সভা করে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে এখন কোথাও এসবের অভাব নেই। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে ঢাকাসহ সব জেলায় নতুন করে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছি। দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। বাজারের থেকে কম দামে এসব বিক্রি হচ্ছে। নির্ধারিত জায়গায় গাড়ি থাকে, সেখান থেকে এসব কেনা যায়।

মন্ত্রণালয়ের বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিক্রি অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল জানান, গত এক মাসে সারা দেশে ১৮ হাজার ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি জেলায় দিনে গড়ে ১০টি করে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি ভাড়া করে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঢাকার ৩০টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রি কার্যক্রম চলছে। নিজেদের ফার্মের গরু জবাই করে মাংস সরবরাহ করছি। প্রয়োজনে এসব সামগ্রী কিনে কম দামে বিক্রি করা হবে। মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগের ফলে অতিমারির মধ্যেও মাছ, মাংস, ডিম, দুধের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রয়েছে এবং এগুলোর বাজার স্থিতিশীল আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত