Ajker Patrika

জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, হঠাৎ বৃষ্টিতে বিড়ম্বনা

জাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ০৭
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনের প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ‘এ’ ইউনিটের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির (আইআইটি) পরীক্ষা হয়। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ষষ্ঠ শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়।

সকালে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ পরিদর্শনকালে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রথম দুই শিফটে উপস্থিতির হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। আমরা আশা করছি, ভর্তি পরীক্ষার পুরো সময়টা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকবে। সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের শৃঙ্খলা টিম সর্বদা তৎপর রয়েছে।’

জানা যায়, এবারে ছয়টি ইউনিট ও একটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫১ জন অংশগ্রহণ করছেন। 

‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) ৪৪৬টি আসনের বিপরীতে ৫০ হাজার ৩১২ জন, ‘বি’ ইউনিটে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ) ৩৮৬টি আসনের বিপরীতে ১৭ হাজার ৬৫৪ জন, ‘সি’ ইউনিটে (কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) ৩৮৮টি আসনের বিপরীতে ৩৯ হাজার ৭৩৮ জন, ‘সি-১’ ইউনিটে (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) ৬৪টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ২১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। 

এ ছাড়া ‘ডি’ ইউনিটে (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ৩১০টি আসনের বিপরীতে ৬৯ হাজার ২৮১ জন, ‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ) ২০০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৬৪৫ জন এবং আইবিএতে ৫০টি আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৫১৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আলী রেজা বলেন, ‘আগে ইউনিটের সংখ্যা বেশি ছিল। ভর্তি পরীক্ষা গত ৩ বছরে ১০ ইউনিট থেকে ৫ ইউনিটে পরিবর্তন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ইউনিটের সংখ্যা কমানোর ফলে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক একাধিক ইউনিটে আবেদন করার সুযোগ কমে গেছে। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা কিছু কমে গেছে। এ ছাড়া এ বছর ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন যোগ্যতা বাড়ানোর ফলে ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা কমেছে।’ 

জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষা শুরু। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে সকালের দিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ব্যবস্থাপনার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনায় বসার জায়গা না পেয়ে বৃষ্টিতে গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে আবার বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থাতেই পরীক্ষার কক্ষে যান এবং বাইরে অভিভাবকেরা বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করেন। 

রাজশাহী থেকে আগত অভিভাবক শামিম রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েকে ভর্তি পরীক্ষায় দিতে নিয়ে এসেছি। প্রথম তো এখানে আশপাশে মানসম্মত থাকার জায়গা না থাকায় ঢাকায় ছিলাম। সেখান থেকে এসে আবার বৃষ্টি বিড়ম্বনা। এখানে বিশ্রামের জন্য কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা নেই।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ বিরূপ আবহাওয়ায় আগত ভর্তি-ইচ্ছুক ও অভিভাবকদের জন্য তাঁবু বা ছাউনির ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে বৃষ্টিতে যেন ভোগান্তি না হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনুষদগুলোর সামনে দাঁড়াতে পেরেছে। এ ছাড়া আবহাওয়ার অবস্থা বুঝে আগামী দিন থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত