Ajker Patrika

হরিরামপুরে প্রাকৃতিক বনের শতাধিক গাছ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১১: ০০
Thumbnail image

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধুমালী চরের প্রাকৃতিক বনের শতাধিক গাছ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১২ ও ১৩ নভেম্বর বনটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে বনে থাকা নানা প্রজাতির পাখি তাদের আবাসস্থল হারিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় খেরু নামের এক ব্যক্তি জমির ঘাস পোড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক বনসংলগ্ন পাশের জমিতে আগুন দেন। সেই আগুন বনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং শতাধিক গাছ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

পরিবেশবিষয়ক সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গের সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল বলেন, পরিবেশ সংগঠন ‘হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গ’ হারুকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর খেয়াঘাট থেকে নারায়ণকান্দি পর্যন্ত সরকারি রাস্তার দুপাশে পাঁচ শতাধিক নানা প্রজাতির ফুল-ফল ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে। সম্প্রতি এক ব্যক্তি আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে রাস্তার দুপাশের ঘাস পোড়ানোর অজুহাতে গাছের চারাগুলো পুড়িয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক বনেও আগুন দিয়ে শতাধিক গাছ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। 

প্রণব পাল আরও বলেন, এ ঘটনায় সংগঠনটি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। 

হারুকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাছগুলো দেখলে যে কারও মায়া হবে। এলাকার এক ব্যক্তি এ কাজ করেছেন। তিনি জমির আগাছা পরিষ্কার করতে আগুন দেন বলে শুনেছি। সেই আগুনে বনের গাছগুলো পুড়ে গেছে। 

হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানিকগঞ্জের সবচেয়ে সুন্দর ও বড় হারুকান্দি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে এই বন। এই বনে প্রায় তিন হাজারের বেশি গাছ রয়েছে। বনটি পশু ও পাখির আবাসস্থল। বনের ২৩০টি গাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বন বিভাগ থেকে স্থানীয় ওই ব্যক্তি খেরুর নামে মামলা দায়ের করেছি।’ 

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বনের ১১১টির মতো গাছ পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এ বিষয়ে ফরেস্ট অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এই বনে শিগগিরই নতুন করে গাছ রোপণ করা হবে। 

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় খেরুর নাম উল্লেখ করে বন বিভাগ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত