নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এখনই বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি থেকে পিছু হটলেন তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতির জন্য তাঁরা নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কলেজটির শিক্ষার্থী লায়েক নুর মোহাম্মদ এমনটি জানিয়েছেন।
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লায়েক নুর মোহাম্মদ বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এই মুহূর্তে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের অনুরোধ করেছেন। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিলে অন্য কলেজগুলোও আন্দোলনে নেমে যাবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন হবে। তাই আমরা নির্বাচিত সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করব।’
সোমবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় গিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডল। তাঁরা দুজন শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।
এ সময় যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর আগে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বাকি ছয় দফায় যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
রাত পৌনে ১০টায় সড়ক ছাড়েন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রেলপথও সচল হয়। পরে আটকে থাকা দুইদিকের ট্রেনই চলাচল করতে দেখা যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের কারণে বাস বন্ধ ছিল। ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো তোমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপিকে অনুরোধ জানাব যাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়।’
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে লায়েক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ কমিটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম ও কলেজ পরিচালনা করবে। আমরা কি এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সবাই একমত?’ তখন শিক্ষার্থীরা ‘হ্যাঁ’ বলে সাড়া দেন।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নায়েক নূর এ সময় আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করছি। মন্ত্রণালয় যেসব আশ্বাস দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কার্যকর অগ্রগতি না দেখলে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে আমরা আবারও আন্দোলনে নামব।’
এ সময় মঙ্গলবারের পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের অনুরোধ জানান তাঁরা।
এ আগে, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাঁরা সড়কটি আটকে দেন।
একইদিনে মহাখালী-গুলশান লিংক রোড অবরোধ করেন তাঁরা। এতে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রোগী এবং নারীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’।
তাঁদের দাবিগুলো হলো— তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক খরচ বহন করা; ২০২৪-২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয়, আইন এবং সাংবাদিকতা সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্য গবেষণাগার নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
এখনই বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি থেকে পিছু হটলেন তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতির জন্য তাঁরা নির্বাচিত সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কলেজটির শিক্ষার্থী লায়েক নুর মোহাম্মদ এমনটি জানিয়েছেন।
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লায়েক নুর মোহাম্মদ বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এই মুহূর্তে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের অনুরোধ করেছেন। কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি দিলে অন্য কলেজগুলোও আন্দোলনে নেমে যাবে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন হবে। তাই আমরা নির্বাচিত সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করব।’
সোমবার রাত ৯টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় গিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডল। তাঁরা দুজন শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান।
এ সময় যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এর আগে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বাকি ছয় দফায় যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
রাত পৌনে ১০টায় সড়ক ছাড়েন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রেলপথও সচল হয়। পরে আটকে থাকা দুইদিকের ট্রেনই চলাচল করতে দেখা যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের কারণে বাস বন্ধ ছিল। ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো তোমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপিকে অনুরোধ জানাব যাতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেয়।’
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে লায়েক নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘এ কমিটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম ও কলেজ পরিচালনা করবে। আমরা কি এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সবাই একমত?’ তখন শিক্ষার্থীরা ‘হ্যাঁ’ বলে সাড়া দেন।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নায়েক নূর এ সময় আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করছি। মন্ত্রণালয় যেসব আশ্বাস দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কার্যকর অগ্রগতি না দেখলে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে আমরা আবারও আন্দোলনে নামব।’
এ সময় মঙ্গলবারের পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের অনুরোধ জানান তাঁরা।
এ আগে, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে আজ সোমবার পঞ্চম দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে তাঁরা সড়কটি আটকে দেন।
একইদিনে মহাখালী-গুলশান লিংক রোড অবরোধ করেন তাঁরা। এতে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে রোগী এবং নারীরা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করতে সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন কলেজটির শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’।
তাঁদের দাবিগুলো হলো— তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ; তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা; অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক খরচ বহন করা; ২০২৪-২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দুটি বিষয়, আইন এবং সাংবাদিকতা সংযোজন; একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ; শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্য গবেষণাগার নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
রাজশাহীতে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স ভেঙে সব দরপত্র লুট করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন ছুরিকাহতও হন। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলার পবা উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের এক ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ১৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, সনদপত্র বাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ১০৫ সদস্য মিলে ‘বাঁশখালী মৎস্যচাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে সরকারি নিবন্ধন নিয়ে ৬৮ একর মৎস্য প্রকল্প গড়ে তোলেন ১২ বছর আগে। জুলাই আন্দোলনের পর পরিস্থিতি বদলে গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতা মোশাররফ হোসেন লাভলুসহ তাঁর সহযোগীরা এ প্রকল্পের দখল নেওয়ার চেষ্টা...
৩৬ মিনিট আগেবরিশাল নগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজা বেগমের নামে বরাদ্দ দেওয়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। এখন আর তেল, চিনি পাবেন কি না, সেই চিন্তায় দিশেহারা তিনি। আসন্ন রোজায় কীভাবে চলবে সংসার—এটাই এখন হাফেজার বড় চিন্তা। হাফেজার মতো বরিশাল নগরের প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার দরিদ্র
১ ঘণ্টা আগে