Ajker Patrika

ধামরাইয়ে বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

ঢামেক প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাই মোকামটোলা এলাকায় ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ চারজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

দগ্ধরা হলেন—নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) ও ছেলে হাদী সোহাগ (১৮)। 

দগ্ধ সুফিয়া বেগমের ভাই মো. আলী জানান, রাত ৩টার দিকে সাহরির জন্য রান্না করতে যান সুফিয়া বেগম। রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। পুরো বাসায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁরা চারজন দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন স্বজনেরা। 

নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম গৃহিণী। মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২) গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছেলে আল হাদী সোহাগ সাভার মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। 

তিনি আরও বলেন, তাঁদের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। আবার পুরোনো গ্যাসলাইনও ছিল। সেটা অবৈধ থাকায় বেশ কিছু দিন আগে তিতাস কোম্পানি লাইন কেটে দিয়ে যায়। সেখান থেকে গ্যাস লিকেজ হয়েছে, নাকি সিলিন্ডার থেকে হয়েছে তা নিশ্চিত করে পারছেন না। 

এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ধামরাই থেকে গ্যাসের আগুনে চারজন দগ্ধ রোগী এসেছেন। তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম নান্নুর শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ ও আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত