Ajker Patrika

কিছুতেই থামছে না ড্রেজিং নৈরাজ্য

প্রতিনিধি, জাজিরা (শরীয়তপুর)
Thumbnail image

শরীয়তপুরের জাজিরায় বর্ষাকাল আসলেই শুরু হয় ড্রেজিং নৈরাজ্য। এতে করে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে প্রচুর ফসলি জমি। একই সঙ্গে যত্রতত্র স্পিড ব্রেকারের কারণে ঘটছে অনেক দুর্ঘটনা। প্রতি বছর বর্ষাকাল আসলেই ড্রেজার ব্যবসায়ীদের তৎপরতা বেরে যায়।

জানা যায়, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল উক্ত ড্রেজার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও এলাকায় আলাদা আলাদা সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের দিয়ে কাজ করান। শুধু মাত্র জাজিরা পৌরসভায়ই রয়েছে ২০০ এর অধিক ড্রেজার। ফলে সড়ক-মহাসড়কে অস্থায়ী ভিত্তিতে যত্রতত্র গড়ে তোলা হয়েছে ড্রেজার পাইপের গতিরোধক। এতে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

সড়ক ও মহাসড়কে অস্থায়ী ভিত্তিতে যত্রতত্র ড্রেজার পাইপের গতিরোধক কয়েক মাস যাবৎ বসানো রয়েছে। এমনকি জাজিরা পৌরসভা ও জাজিরা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় মাসখানেক আগে ড্রেজার পাইপ সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সরানো হয়নি গতিরোধক। অন্যদিকে, কেউ কেউ আবার ফসলি জমি উজাড় করে বালু বিক্রি করছে অন্যত্র। এতে করে ক্রমশ ফসলি জমি কমে আসছে।

গাড়ি চালক শাহিন মাদবর বলেন, জাজিরায় নিয়মিত সড়ক ও মহাসড়কে অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে তোলা ড্রেজার পাইপের গতিরোধকের কারণে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি গত বছর জাজিরা-নড়িয়া মহাসড়কে মারাত্মক একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ছোটবড় অ্যাক্সিডেন্টতো হচ্ছেই।

এ বিষয়ে জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, যত্রতত্র জায়গায় যাতে গতিরোধক তৈরি না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কেউ যত্রতত্র জায়গায় গতিরোধক দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। আবার কখনো কখনো স্থানীয় প্রশাসনিক লোকজনদের দিয়ে সতর্ক করছি। তবুও অনেকে বাল্কহেড দিয়ে ড্রেজিং ব্যবসা করছে। আবার অনেকেই অবৈধভাবে ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে। আমরা অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত