জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যরাতে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
শিক্ষার্থীরা হলেন মওলানা ভাসানী হলের নূর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মীর মশাররফ হোসেন হলের মিঠুন রায়, মো. তানভীর ইসলাম, চিরঞ্জীত মণ্ডল, এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মো. রাসেল হোসাইন ও মো. জোবায়েদ হাসান। তাঁরা সবাই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড এলাকায় র্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ ও মো. রনি হোসাইন। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে পাকড়াও করেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত অন্য শিক্ষার্থীদের কথা জানতে পারেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাত ৮টায় বড় ভাইয়েরা (৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা) সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে আমাদের ডাকেন। কিন্তু ভাইয়েরা আসেন রাত ১১টায়। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো আমাদের র্যাগ দেওয়া হয়। এ সময় আমাদের মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। ম্যানার শেখানোর নামে সিনিয়ররা আমাদের গালিগালাজ করেন। মুরগি ও চেয়ার বানানো হয়। এ ছাড়া সিনিয়রদের সালাম না দেওয়ায় শাসায় এবং আমাদের একজনের গায়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ‘আজকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। আমরা ৫০ ব্যাচের ১০-১২ জন ছিলাম। এর মধ্যে আমিসহ ছিল নূর ইসলাম, তানভীর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ, চিরঞ্জীত মণ্ডল, মো. রাসেল হোসাইন, সিজান, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মিঠুন রায়। এ সময় ওদেরকে র্যাগ দেওয়া হয়, তবে আমি দেই নাই। আমি কীভাবে যেন আজকে এসে পড়ছি। আমি ভুল স্বীকার করছি আর এমনটা হবে না।’
সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাতে জানতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে আমরা দুজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়া মাত্রই কয়েকজন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে আমরা আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে একজনকে ধরতে পারি। কারা সেখানে উপস্থিত ছিলে সে তাদের নাম জানিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে শোকজ করেছি। তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যরাতে জঙ্গলে ডেকে নিয়ে র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে শোকজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
শিক্ষার্থীরা হলেন মওলানা ভাসানী হলের নূর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মীর মশাররফ হোসেন হলের মিঠুন রায়, মো. তানভীর ইসলাম, চিরঞ্জীত মণ্ডল, এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মো. রাসেল হোসাইন ও মো. জোবায়েদ হাসান। তাঁরা সবাই প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ড এলাকায় র্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ ও মো. রনি হোসাইন। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে এক শিক্ষার্থীকে পাকড়াও করেন প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত অন্য শিক্ষার্থীদের কথা জানতে পারেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাত ৮টায় বড় ভাইয়েরা (৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা) সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে আমাদের ডাকেন। কিন্তু ভাইয়েরা আসেন রাত ১১টায়। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো আমাদের র্যাগ দেওয়া হয়। এ সময় আমাদের মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। ম্যানার শেখানোর নামে সিনিয়ররা আমাদের গালিগালাজ করেন। মুরগি ও চেয়ার বানানো হয়। এ ছাড়া সিনিয়রদের সালাম না দেওয়ায় শাসায় এবং আমাদের একজনের গায়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।’
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী এ বি এম আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ‘আজকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। আমরা ৫০ ব্যাচের ১০-১২ জন ছিলাম। এর মধ্যে আমিসহ ছিল নূর ইসলাম, তানভীর ইসলাম, মো. আবদুস ছবুর, প্রিন্স কুমার রায়, আহমেদ ইজাজুল হাসান আরিফ, চিরঞ্জীত মণ্ডল, মো. রাসেল হোসাইন, সিজান, খন্দকার মোয়াজ ইসলাম ও মিঠুন রায়। এ সময় ওদেরকে র্যাগ দেওয়া হয়, তবে আমি দেই নাই। আমি কীভাবে যেন আজকে এসে পড়ছি। আমি ভুল স্বীকার করছি আর এমনটা হবে না।’
সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা রাতে জানতে পারি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি ফিল্ডসংলগ্ন জঙ্গলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রক্টর স্যারের নির্দেশে আমরা দুজন সহকারী প্রক্টর ঘটনাস্থলে যাই। যাওয়া মাত্রই কয়েকজন সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে আমরা আব্দুল্লাহ আল কাফি নামে একজনকে ধরতে পারি। কারা সেখানে উপস্থিত ছিলে সে তাদের নাম জানিয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে শোকজ করেছি। তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
৩৫ মিনিট আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
১ ঘণ্টা আগে