Ajker Patrika

কলেজছাত্রীকে নিয়ে পালানো যুবলীগ নেতাকে অব্যাহতি

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ২৬
Thumbnail image

অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন রাসেল আহমেদ নামে এক যুবলীগ নেতা। ১৭ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার বাসিন্দা এবং চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি এলাকাজুড়ে জানাজানি হলে চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদকের পদ থেকে রাসেল আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিলন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার বকাউল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।

রাসেল আহমেদ হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের নিম্নমান সহকারী পদে চাকরি করেন। তিনি বিবাহিত। তাঁর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন ওই কলেজেরই এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীও বিবাহিত এবং তার চার বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সখীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ডিএমখালী ইউনিয়নের এক যুবকের। হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজে পড়াশোনার সময় কলেজের নিম্নমান সহকারী রাসেল আহমেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৭ অক্টোবর সকালের দিকে দুজনে পালিয়ে যান। 

সখীপুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক খালাসী বলেন, রাসেলকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে সংগঠনের নীতি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার আল আজাদ বলেন, ‘রাসেলকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমিও তাঁর ব্যবহৃত ফোন বন্ধ পাই। এক দিন পর জানতে পারি, রাসেল আমার কলেজের এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাসেল আহমেদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এ ঘটনায় রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেছেন ওই কলেজছাত্রীর স্বামী। তাঁর স্বামীর অভিযোগ, ঘরে রক্ষিত নগদ টাকাসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে তাঁর স্ত্রী। তাঁদের একমাত্র সন্তান মায়ের জন্য পথ চেয়ে বুক ভাসাচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। 

এদিকে স্বামীর ঘরে শিশুসন্তান রেখে মেয়ে আরেকজনের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন কলেজছাত্রীর মা। মায়েরও তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। তারাও মা-হারা হলো! 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সখীপুর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত