রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমায় তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি, বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনো প্রশাসনের কেউ আসেনি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, পানি কমলেও জেলায় তেমন একটা ভাঙন নেই।
স্থানীয়রা জানান, জেলার ৮৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই পদ্মা নদী। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে বিলীন হয় ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। মূলত বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। ইতিমধ্যে গত কয়েক দিনের সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা, মহাদেবপুর এলাকায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙনে ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন রোধে যেসব জায়গায় ফেলা হয়েছিল জিও ব্যাগ সেখানেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
মেছোঘাটা এলাকার বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘ভাঙনের অবস্থা খুবই খারাপ। দুই-তিনবার নদীতে বাড়ি ভেঙে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙলেও কেউ আসে নাই। ঢ্যাঁড়স, উচ্ছে খেত নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে আগেই সব গেছে। যতটুকু ছিল তাও চলে যাচ্ছে।’
নদী পাড়ের বাসিন্দা আক্কাস আলী সরদার বলেন, ‘নদী ভাঙছে। গত কয়েক দিনে আধা কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গেছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। সবই তো ভেঙে যাচ্ছে। এই যে নদীতে যে বস্তা ফেলানো হয় তা যদি একটু ভালো করে ফেলায় তাহলে ভাঙত না। কিন্তু ভালো করে তো ফেলায় না কেউ।’
কৃষক দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘যে জমি আবাদ করে খাই, তা নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এখন আমরা কীভাবে চলব? সরকারের উচিত দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ অথবা সিসিবক ফেলানো। নইলে রাজবাড়ী শহর থাকবে না।’
জালাল চৌধুরি বলেন, ‘নদীতে কয়েকবার বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এখন আমার বাড়ি যেখানে সেখান থেকে নদী বেশি দূরে না। যেসব জমিতে ফসল আবাদ করতাম সে জমিতো নদীতে চলে যাচ্ছে। ভাঙনের সময় দুই-চারটে বস্তা ফেলে যায় ওই বস্তায় কোনো কাজই হয় না।’
নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেকবর আলী বলেন, ‘আমার স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলটি এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকতে হয়। কারণ অনেক শিশু শিক্ষার্থী খেলাধুলা করতে নদীর পাড়ে যায়। হঠাৎ নদীতে পড়ে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সব শিক্ষার্থী সাঁতার জানে না। এ জন্য বাউন্ডরি দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে স্কুলটি ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী কাজ করাটাও জরুরি।’
রাজবাড়ী পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, ‘পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলায় তেমন একটা ভাঙন নেই। যেসব এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আমরা সে সব এলাকা নজরদারিতে রেখেছি। যদি ভাঙন দেখা দেয় আমরা সেখানে কাজ শুরু করব।’
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি কমায় তীরবর্তী বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে নদীতে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি, বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে এখনো প্রশাসনের কেউ আসেনি। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, পানি কমলেও জেলায় তেমন একটা ভাঙন নেই।
স্থানীয়রা জানান, জেলার ৮৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই পদ্মা নদী। প্রতি বছরই নদী ভাঙনে বিলীন হয় ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। মূলত বর্ষার শুরু ও শেষে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। ইতিমধ্যে গত কয়েক দিনের সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা, মহাদেবপুর এলাকায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙনে ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাঙন রোধে যেসব জায়গায় ফেলা হয়েছিল জিও ব্যাগ সেখানেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। অব্যাহত ভাঙনে বড়চর বেনিনগর, মেছোঘাটা এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
মেছোঘাটা এলাকার বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘ভাঙনের অবস্থা খুবই খারাপ। দুই-তিনবার নদীতে বাড়ি ভেঙে গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙলেও কেউ আসে নাই। ঢ্যাঁড়স, উচ্ছে খেত নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে আগেই সব গেছে। যতটুকু ছিল তাও চলে যাচ্ছে।’
নদী পাড়ের বাসিন্দা আক্কাস আলী সরদার বলেন, ‘নদী ভাঙছে। গত কয়েক দিনে আধা কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গেছে। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। সবই তো ভেঙে যাচ্ছে। এই যে নদীতে যে বস্তা ফেলানো হয় তা যদি একটু ভালো করে ফেলায় তাহলে ভাঙত না। কিন্তু ভালো করে তো ফেলায় না কেউ।’
কৃষক দুলাল বিশ্বাস বলেন, ‘যে জমি আবাদ করে খাই, তা নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। এখন আমরা কীভাবে চলব? সরকারের উচিত দ্রুত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ অথবা সিসিবক ফেলানো। নইলে রাজবাড়ী শহর থাকবে না।’
জালাল চৌধুরি বলেন, ‘নদীতে কয়েকবার বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এখন আমার বাড়ি যেখানে সেখান থেকে নদী বেশি দূরে না। যেসব জমিতে ফসল আবাদ করতাম সে জমিতো নদীতে চলে যাচ্ছে। ভাঙনের সময় দুই-চারটে বস্তা ফেলে যায় ওই বস্তায় কোনো কাজই হয় না।’
নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেকবর আলী বলেন, ‘আমার স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলটি এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই চিন্তায় থাকতে হয়। কারণ অনেক শিশু শিক্ষার্থী খেলাধুলা করতে নদীর পাড়ে যায়। হঠাৎ নদীতে পড়ে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সব শিক্ষার্থী সাঁতার জানে না। এ জন্য বাউন্ডরি দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে স্কুলটি ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী কাজ করাটাও জরুরি।’
রাজবাড়ী পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, ‘পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে রাজবাড়ী জেলায় তেমন একটা ভাঙন নেই। যেসব এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আমরা সে সব এলাকা নজরদারিতে রেখেছি। যদি ভাঙন দেখা দেয় আমরা সেখানে কাজ শুরু করব।’
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে