Ajker Patrika

বিদেশিদের লাশ নিয়ে বিপাকে কারাগার

  • এক-দেড় বছর ধরে লাশ পড়ে আছে মর্গে।
  • সংশ্লিষ্ট দেশ ফেরত না নেওয়ায় করা যাচ্ছে না দাফন।
  • লাশ সংরক্ষণের খরচ বাড়ছে হাসপাতাল মর্গে।
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯: ১৩
শরীয়তপুর জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত
শরীয়তপুর জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আজমান আলী (৫০) নামের এক ভারতীয়কে আটক করে পুলিশ। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে সেই বছরের ১৪ নভেম্বর আদালত তাঁকে ছয় মাসের সাজা দেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে ফিরিয়ে নিতে ভারতকে অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। কিন্তু আজমান আলীকে ফিরিয়ে নেয়নি ভারত। এই অবস্থায় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর শরীয়তপুর জেলা কারাগারে মারা যান আজমান আলী। এখনো তাঁর লাশ ফেরত নেয়নি ভারত। ১ বছর ৯ মাস ধরে লাশ রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।

আজমানের মতো আরও কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ ফিরিয়ে নিচ্ছে না, আবার তা দাফন-সৎকারও করা যাচ্ছে না। মর্গে প্রতিদিন বাড়ছে লাশ রাখার খরচ।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কারাগারে ভারত ও পাকিস্তানের ১১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এসব লাশও দীর্ঘদিন হাসপাতালের মর্গে ছিল। সংশ্লিষ্ট দেশ লাশ না নেওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতটি লাশ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়। তারা এসব লাশ দাফন ও সৎকার করে।

কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজমান আলীর লাশ প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। একই হাসপাতালের মর্গে ছোট নির্মল দাস নামের আরেক ভারতীয় নাগরিকের লাশ রয়েছে প্রায় ৫ মাস ধরে। আর রাজন নামের অপর ভারতীয় নাগরিকের লাশ দেড় মাস ধরে রয়েছে শরীয়তপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় ওই সব দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁদের লাশ দাফনেরও সুযোগ নেই। তাই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল ও কারা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মর্গে প্রত্যেক লাশ সংরক্ষণের জন্য দিনপ্রতি খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসাবে ওই তিন ভারতীয়র লাশ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিল হয়েছে। লাশ নেওয়ার আগপর্যন্ত এই ব্যয় আরও বাড়বে। মর্গ থেকে লাশ বের করে পাঠানোর পর ব্যয়ের বিল দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার এসব নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ জানালেও সাড়া মেলে না। পরে অনেকে কারাগারে মারা যান। পরে লাশগুলো সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সরকার হয়তো এ বিষয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে।

সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি বন্দীদের লাশ পাঠানো কিংবা এগুলোর দাফন ও সৎকারের বিষয়ে জানতে রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা অধিশাখার যুগ্ম সচিব তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত