Ajker Patrika

চার দফা দাবি আদায়ে ১০ মার্চ পর্যন্ত ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা            
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দফা দাবি আদায়ে ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আজ রোববার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ম্যাটসের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল ইসলাম শান্ত (হাসিব) মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০ মার্চ পর্যন্ত প্রতি জেলায় জেলায় তাঁরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করবেন। এর মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

ম্যাটস শিক্ষার্থীরা আরও জানান, যদি নতুন কর্মসূচির কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তবে তার পূর্ণ দায়ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তাবে।

ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সমন্বয়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম মূল বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে কিছু চিকিৎসক ‘উসকানি’ দিচ্ছেন, যার ফলে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। এসব কার্যক্রমের কারণে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ও ডিএমএফ ডিগ্রিধারীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

মুজাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ ধরনের অপপ্রচার দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিএমএফদের অধিকার আদায়ের জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা চলমান। ওই মামলার রায়কে প্রভাবিত করতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতি, সভা-সমাবেশ আদালত অবমাননার শামিল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দাবি আদালতেই সমাপ্ত হবে, আমরা কারও বিরুদ্ধে নই।’

ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—অবিলম্বে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি করতে হবে। চার বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে কারিকুলাম সংশোধন, ভাতাসহ এক বছরের ইন্টার্নশিপ চাইছেন তাঁরা।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে বোর্ড গঠন করা এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ চেয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই চার দাবিতে ৬ মাস ধরে আন্দোলন করছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, ঢাকা জেলার সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়াসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশে ১৬টি সরকারি এবং ২০০টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল রয়েছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তাঁরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত