নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অপহরণের পর মারধর করে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিসহ চাঁদাবাজির মামলা করার পর আবার সেই মামলায় গ্রেপ্তার এক ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বাদী নিজে। আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে বাদী গ্রেপ্তার আসামিকে জামিন করিয়ে নেন।
ছাড়িয়ে নেওয়া ছাত্রদল নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন। বাদীর উপস্থিতিতে তাঁর জিম্মায় আসামিকে এ জামিন দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান।
ছাত্রদল নেতা শাওনসহ একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি মো. হেলাল উদ্দিনকেও (২৬) আদালতে হাজির করে গুলশান থানা-পুলিশ। এ ছাড়া মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের তিনজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই হারুনুর রশিদ।
এ সময় শাওনের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন পলাশ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় মামলার বাদী ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতে হলফনামা দাখিল করেন মামলার বাদী শেখ নাঈম আহমেদ। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, মামলার ৩ নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন শাওন জামিন পেলে কোনো আপত্তি নেই।
এ ছাড়া হলফনামা ছাড়াও বাদী নাঈম শেখ আদালতকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসামি শাওন উপস্থিত থাকলেও এ ঘটনায় তার কোনো তৎপরতা ছিল না। আসামি শাওন জামিন পেলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
শুনানি শেষে আদালত আসামিকে বাদীর জিম্মায় জামিন দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত আসামি জামিনে থাকবেন।
আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মামলার অন্য দুই আসামি হেলাল উদ্দিন ও ইদ্রিসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত ট্রিপজায়ান ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। ৯ অক্টোবর বেলা অনুমান ১টার দিকে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে তিনি গুলশান-১ ছিলেন। একটি মিটিং শেষে গুলশান-১ গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে ৫১ দক্ষিণ অ্যাভিনিউয়ের নিচতলায় বিসমিল্লাহ হানিফ বিরিয়ানি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে তিনি খেতে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খাওয়াদাওয়া শেষ হলে আসামি নাসির উদ্দিন শাওন তাঁর মোবাইল থেকে ব্যবসায়ী নাঈমকে ফোন করে দুবাইয়ের বিমান টিকিট ক্রয় করবে মর্মে তাঁর অবস্থান জানতে চান। বাদী ছাত্রদল নেতা শাওনকে অবস্থান জানালে ৫টা ৫৫ মিনিটে মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ হেলাল, নাসির উদ্দিন শাওনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে ঘিরে ধরে জোরপূর্বক খলিফাস রেস্টুরেন্টে অপহরণ করে নিয়ে যান।
নাঈম আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘তাঁরা বাদীর ফোন, ল্যাপটপ, মানিব্যাগ নিয়ে নেন এবং তাঁর কাছে নগদ ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাঁরা বাদীর মোবাইলটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে। তখন বাদীর ভাইয়ের ছেলে নাহিদুল ইসলাম খলিফাস রেস্টুরেন্টে এলে তাঁরা ল্যাপটপটি ভাতিজা নাহিদুল ইসলামকে দিয়ে দেন। বাদী তাঁদের দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ধ্যা ৭টায় বাদীকে গুলশান-১ লেকপাড়ে নিয়ে যায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাঁদের দাবি করা নগদ ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাত ১০টার মধ্যে দেওয়ার জন্য বলে, অন্যথায় তাঁরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেন।’
মামলার এজাহারে বাদী আরও বলেন, ‘টাকা দিতে ব্যর্থ হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে আসামিরা তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে উঠিয়ে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার পার্শ্ববর্তী হয়ে হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় আমার চিৎকার শুনে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্টে বাদীকে বহন করা মোটরসাইকেলটিকে থামালে শাওন বাদীসহ আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে ফেলে অন্য আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। যৌথ বাহিনী ইদ্রিসকে (১ নম্বর আসামি) ধরে তাঁদের হেফাজতে নেয়।’
ওই দিনই ইদ্রিস, হেলাল ও ছাত্রদল নেতা শাওনসহ আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল ও শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহরণের পর মারধর করে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিসহ চাঁদাবাজির মামলা করার পর আবার সেই মামলায় গ্রেপ্তার এক ছাত্রদল নেতাকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বাদী নিজে। আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামা দিয়ে বাদী গ্রেপ্তার আসামিকে জামিন করিয়ে নেন।
ছাড়িয়ে নেওয়া ছাত্রদল নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন। বাদীর উপস্থিতিতে তাঁর জিম্মায় আসামিকে এ জামিন দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান।
ছাত্রদল নেতা শাওনসহ একই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি মো. হেলাল উদ্দিনকেও (২৬) আদালতে হাজির করে গুলশান থানা-পুলিশ। এ ছাড়া মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের তিনজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই হারুনুর রশিদ।
এ সময় শাওনের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন পলাশ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় মামলার বাদী ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতে হলফনামা দাখিল করেন মামলার বাদী শেখ নাঈম আহমেদ। হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, মামলার ৩ নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন শাওন জামিন পেলে কোনো আপত্তি নেই।
এ ছাড়া হলফনামা ছাড়াও বাদী নাঈম শেখ আদালতকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আসামি শাওন উপস্থিত থাকলেও এ ঘটনায় তার কোনো তৎপরতা ছিল না। আসামি শাওন জামিন পেলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
শুনানি শেষে আদালত আসামিকে বাদীর জিম্মায় জামিন দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত আসামি জামিনে থাকবেন।
আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান মামলার অন্য দুই আসামি হেলাল উদ্দিন ও ইদ্রিসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত ট্রিপজায়ান ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। ৯ অক্টোবর বেলা অনুমান ১টার দিকে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে তিনি গুলশান-১ ছিলেন। একটি মিটিং শেষে গুলশান-১ গোলচত্বরের পশ্চিম পাশে ৫১ দক্ষিণ অ্যাভিনিউয়ের নিচতলায় বিসমিল্লাহ হানিফ বিরিয়ানি অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে তিনি খেতে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খাওয়াদাওয়া শেষ হলে আসামি নাসির উদ্দিন শাওন তাঁর মোবাইল থেকে ব্যবসায়ী নাঈমকে ফোন করে দুবাইয়ের বিমান টিকিট ক্রয় করবে মর্মে তাঁর অবস্থান জানতে চান। বাদী ছাত্রদল নেতা শাওনকে অবস্থান জানালে ৫টা ৫৫ মিনিটে মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ হেলাল, নাসির উদ্দিন শাওনসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে ঘিরে ধরে জোরপূর্বক খলিফাস রেস্টুরেন্টে অপহরণ করে নিয়ে যান।
নাঈম আহমেদ উল্লেখ করেন, ‘তাঁরা বাদীর ফোন, ল্যাপটপ, মানিব্যাগ নিয়ে নেন এবং তাঁর কাছে নগদ ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাঁরা বাদীর মোবাইলটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে। তখন বাদীর ভাইয়ের ছেলে নাহিদুল ইসলাম খলিফাস রেস্টুরেন্টে এলে তাঁরা ল্যাপটপটি ভাতিজা নাহিদুল ইসলামকে দিয়ে দেন। বাদী তাঁদের দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ধ্যা ৭টায় বাদীকে গুলশান-১ লেকপাড়ে নিয়ে যায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাঁদের দাবি করা নগদ ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাত ১০টার মধ্যে দেওয়ার জন্য বলে, অন্যথায় তাঁরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেন।’
মামলার এজাহারে বাদী আরও বলেন, ‘টাকা দিতে ব্যর্থ হলে রাত পৌনে ১২টার দিকে আসামিরা তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে উঠিয়ে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার পার্শ্ববর্তী হয়ে হাতিরঝিল সংযোগ সড়কের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় আমার চিৎকার শুনে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্টে বাদীকে বহন করা মোটরসাইকেলটিকে থামালে শাওন বাদীসহ আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে ফেলে অন্য আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যান। যৌথ বাহিনী ইদ্রিসকে (১ নম্বর আসামি) ধরে তাঁদের হেফাজতে নেয়।’
ওই দিনই ইদ্রিস, হেলাল ও ছাত্রদল নেতা শাওনসহ আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী শেখ নাঈম আহমেদ। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল ও শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘চাকসু থাকলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, পরিবহন ও আবাসন—এসব ইস্যুতে সরাসরি আলোচনার সুযোগ মিলবে। তাই সবাই এই নির্বাচনের অপেক্ষায়।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলা হক। এটা শুধু তানজিলার কথা নয়। এমন ছাত্র প্রতিনিধি পাওয়ার অপেক্ষায় অনেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রাসায়নিকের দোকান ও গুদাম। মাঝেমধ্যেই এসব স্থানে আগুন লাগে, ঘটে প্রাণহানি। ফায়ার ফাইটাররা সাধারণ আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও রাসায়নিকের আগুন নেভাতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের।
৭ ঘণ্টা আগেরোজকার মতো গতকাল মঙ্গলবারও তাঁরা পোশাক কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। আগুনে কারখানাতেই নিভে গেল তাঁদের জীবনপ্রদীপ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। অনেকে নিখোঁজ থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বল
৭ ঘণ্টা আগেহাটহাজারীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অপু দাশ (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী থানাধীন চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের চৌধুরীহাটের দাতারাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত অপু দাশ ওই ইউপির ৩নং ওয়ার্ড এলাকার মিন্টু দাশের ছেলে।
৭ ঘণ্টা আগে