উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
পারিবারিকভাবে গত ছয় মাস আগে সানভীর সঙ্গে বিয়ে হয় জুঁইয়ের। কিছুদিন যেতেই ভেঙে যায় সংসার। বিয়ের সময় বাবার দেওয়া ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে জুঁই ও তাঁর পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা পূর্ব থানায় সানভীসহ আরও ৩ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন জুঁই।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মজিবুর রহমান মামলার তথ্যটি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ মে রাত সাড়ে ৯টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে সানভীর বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাবেক স্বামী ও তাঁর পরিবারের হামলায় আহত হন সাদিয়া আলম জুঁই, বাবা শরীফুল আলম, মা শাহীন সুলতানা ও নানি সূর্য বানু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইসলামি শরিয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে কামরুল হাসান সানভী ও জুঁইয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সানভী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জুঁইকে তালাকনামা পাঠায়। যার প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর গয়না আনতে গেলে সানভী ও তাঁর পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সানভীর বড় ভাই রিসাত হাসান সানি জুঁইকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। এতে তাঁর মা বাধা দিলে সানি একটি ছুরি নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। পরে বাবা ফেরাতে গেলে সানভী একটি লোহার পাইপ দিয়ে তাঁকেও এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
এছাড়াও সানভীর বোন সোহানীও বাদীকে চুল ধরে নিচে ফেলে যত্রতত্র লাথি মারে। সেই সঙ্গে রিসাত হাসান সানি তাঁর মাকে কাপড়চোপড় ধরে টানা হিঁচড়া করে। অপরদিকে আরেক বোন সোনিয়া গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় আসামিরা বাদীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাদিয়া আলম জুঁই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক নারী সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত সানভীর। ওই নারীর দুটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি জেনে ফেলায় সানভী আমাকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায়। কিন্তু দেনমোহর পরিশোধ করেনি। পরে তাঁদের বাসায় আমার জরুরি কাগজপত্র ও বিয়ের সময় বাবার দেওয়া ১০ ভরি গয়না আনার জন্য সানভীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো উত্তর দেয়নি। পরে তাঁর দুলাভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন নিয়ে যেতে বলেন। তখন আমি আমার বাবা-মা ও নানিকে নিয়ে গেলে সানভী ও তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এতে বাদ পড়েনি ক্যানসারের রোগী বৃদ্ধা নানিও। তাঁকেও মারধর করে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
জুঁই বলেন, ‘ওদের হামলায় আজ আমি আমার বাম চোখ হারাতে বসেছি। প্রতিনিয়ত চোখের যন্ত্রণায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে দৌঁড়াতে হচ্ছে। এছাড়াও তাঁদের মারধরে আমার কপালের বামপাশের হাড়েও ফ্যাকচার হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কামরান হাসান সানভীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে চেয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরবর্তীতে তাঁর বড় ভাই রিসাত হাসান সানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আমাদের বাসায় হামলা করতে এসেছিলেন।’ কিন্তু কোথায় হামলা চালিয়েছে ও কে কে আহত হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
পারিবারিকভাবে গত ছয় মাস আগে সানভীর সঙ্গে বিয়ে হয় জুঁইয়ের। কিছুদিন যেতেই ভেঙে যায় সংসার। বিয়ের সময় বাবার দেওয়া ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে জুঁই ও তাঁর পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরা পূর্ব থানায় সানভীসহ আরও ৩ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন জুঁই।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মজিবুর রহমান মামলার তথ্যটি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২০ মে রাত সাড়ে ৯টায় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে সানভীর বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সাবেক স্বামী ও তাঁর পরিবারের হামলায় আহত হন সাদিয়া আলম জুঁই, বাবা শরীফুল আলম, মা শাহীন সুলতানা ও নানি সূর্য বানু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইসলামি শরিয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে কামরুল হাসান সানভী ও জুঁইয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সানভী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জুঁইকে তালাকনামা পাঠায়। যার প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর গয়না আনতে গেলে সানভী ও তাঁর পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সানভীর বড় ভাই রিসাত হাসান সানি জুঁইকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে। এতে তাঁর মা বাধা দিলে সানি একটি ছুরি নিয়ে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। পরে বাবা ফেরাতে গেলে সানভী একটি লোহার পাইপ দিয়ে তাঁকেও এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
এছাড়াও সানভীর বোন সোহানীও বাদীকে চুল ধরে নিচে ফেলে যত্রতত্র লাথি মারে। সেই সঙ্গে রিসাত হাসান সানি তাঁর মাকে কাপড়চোপড় ধরে টানা হিঁচড়া করে। অপরদিকে আরেক বোন সোনিয়া গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় আসামিরা বাদীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাদিয়া আলম জুঁই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এক নারী সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত সানভীর। ওই নারীর দুটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি জেনে ফেলায় সানভী আমাকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায়। কিন্তু দেনমোহর পরিশোধ করেনি। পরে তাঁদের বাসায় আমার জরুরি কাগজপত্র ও বিয়ের সময় বাবার দেওয়া ১০ ভরি গয়না আনার জন্য সানভীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে কোনো উত্তর দেয়নি। পরে তাঁর দুলাভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন নিয়ে যেতে বলেন। তখন আমি আমার বাবা-মা ও নানিকে নিয়ে গেলে সানভী ও তাঁর পরিবারের লোকজন আমাদের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এতে বাদ পড়েনি ক্যানসারের রোগী বৃদ্ধা নানিও। তাঁকেও মারধর করে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
জুঁই বলেন, ‘ওদের হামলায় আজ আমি আমার বাম চোখ হারাতে বসেছি। প্রতিনিয়ত চোখের যন্ত্রণায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে দৌঁড়াতে হচ্ছে। এছাড়াও তাঁদের মারধরে আমার কপালের বামপাশের হাড়েও ফ্যাকচার হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কামরান হাসান সানভীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে জানতে চেয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। পরবর্তীতে তাঁর বড় ভাই রিসাত হাসান সানি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আমাদের বাসায় হামলা করতে এসেছিলেন।’ কিন্তু কোথায় হামলা চালিয়েছে ও কে কে আহত হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার আটক হয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর ভাতিজি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (সাবেক এমপি) আটক হয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে পচা মিষ্টির রসের সঙ্গে ক্ষতিকর রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের প্রিয় খাবার সন্দেশ ও টফি; যা প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয় বিভিন্ন জেলায়। অর্থ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
২ ঘণ্টা আগে