Ajker Patrika

বুয়েট উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জুন ২০২৪, ২১: ৫০
বুয়েট উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ বাতিল করায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।   

আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়েরে সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ার সময় অফিসে অবস্থান করেন উপাচার্য। এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবিলম্বে বাতিল করা পদোন্নতি নীতিমালা বহাল রাখার দাবি জানান। 

সংবাদ লেখার সর্বশেষ সময়েও (৮টা ৪৫ মিনিট) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ব্যস্ত পাওয়া যায়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্য স্যার শেষ সময়ে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা বাতিল করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়কে যারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে, তাদের অবহেলা করা হচ্ছে। আমরা বাতিল করা নীতিমালা বহাল রাখার দাবি করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।’

বুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেন রেজিস্ট্রার। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

গত বছরের ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫–এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

বুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়েরে সামনে অবস্থান নেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়টি জানিয়ে গতকাল রোববার একটি অফিস আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই আদেশে উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা-২০১৫–এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকরি শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/ পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভুক্ত মূল পদ শূন্য হবে।

সব সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) প্রেরণ করা হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫–এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদ প্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত