Ajker Patrika

ক্যানটিন পরিচালনা নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই পক্ষের মারামারি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ১৬: ৩৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সচিবালয়ে ক্যানটিন পরিচালনা নিয়ে কর্মচারীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কর্মচারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আজ বুধবার সকাল থেকে সমবায় সমিতি পরিচালিত ক্যানটিন ও দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের পেছনে ক্যানটিনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড দুটি ক্যানটিন এবং ওএমএসের দোকান পরিচালনা করে আসছিল।

সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশে মো. বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং অন্য অংশে মো. নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম নেতৃত্বে রয়েছেন।

সূত্র জানায়, গণ-অভ্যুত্থানের সরকার পতনের পর কর্মচারী সংগঠনের একটি পক্ষ ক্যানটিনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমানে ক্যানটিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সমবায় সমিতি তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সমবায় অধিদপ্তর সমবায় সমিতি পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। কিন্তু তার আগেই কর্মচারীদের একটি পক্ষ ক্যানটিন দখল করে তা পরিচালনা শুরু করে।

অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সমবায় সমিতির আগের কমিটি। এরপর তারা এ বিষয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এরপর উচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। আদালতের এই রায়কে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সমবায় সমিতির আগের কমিটি ও সংযুক্ত পরিষদের বাদিউল গ্রুপ নূরুল ইসলাম গ্রুপের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন কর্মচারীরা।

নূরুল ইসলাম গ্রুপের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে সমবায় সমিতির আগের কমিটি আদালতের রায়ের বিষয়টি আমাদের জানায়। আমরা বলেছি, এটি তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সমবায় বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের জানাক। তারা ক্যানটিনের কার্যক্রম বন্ধ করতে বললে আমরা বন্ধ করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যানটিনের বাজার এসেছিল, ট্রাক থেকে ওএমএসের পণ্য নামানো হচ্ছিল, তখন বাদিউলরা আমাদের ওপর হামলা করে।’

বাদিউল গ্রুপের মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, নূরুল ইসলামেরা আদালতের রায় উপেক্ষা করে দখলের মাধ্যমে ক্যানটিন চালাতে চাচ্ছিলেন। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বাদিউল কবীর আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।

কর্মচারীদের দুই পক্ষের মারামারির পর চার নম্বর ভবনের পেছনে পদ্মা ক্যানটিন, ৬ নম্বর ভবনের নিচে ২ নম্বর ক্যানটিন এবং মিল্ক ভিটার দোকান বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সচিবালয়ের ভেতরের অন্যান্য খাবার, মুদি-মনোহারী এবং ওএমএসের দোকান বন্ধ রয়েছে।

এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করায় আজ বুধবার সকাল থেকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবন এবং এর আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই ভবনের নিচে সমবায় সমিতির কার্যালয়।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত